আপনি পড়ছেন

চীনের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র সিস্টেমকে পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করে তোলতে দুই দশক সময় লেগেছে। এ সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ শারীরিকভাবে অস্ত্র পরিচালনা ব্যবস্থা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। আগে যেখানে একটি রকেট লাউঞ্চার উৎক্ষেপনে একডজন সেনা প্রয়োজন হতো বর্তমানে সেখানে এরচেয়েও শক্তিশালী হার্ডওয়্যার অর্ধেকরও কম জনবল দিয়ে পরিচালনা করা যায়। তবে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না চীনের অনেক ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তারা। তারা প্রশিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ সম্পন্ন করছেন সেকেলে উপায়ে। এমনটি দাবি রা হয়েছে পিএলএ ডেইলিতে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি নিবন্ধে। সেখানে বলা হয়েছে, চীনের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা আপাতদৃষ্টিতে অনেক ‘কঠিন’ মনে হলেও তা মূলত ‘সেকেলে ও অকার্যকর।’

chinese in outdated training

পিএলএ মেলিটারি একাডেমির গবেষক ঝাং ঝিচেং এক কমেন্টারিতে লিখেছেন, ‘আধুনিক সময়ে সব প্রতিদ্বন্দ্বীরাই প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। আমরা যদি সেকেলেভাবে প্রশিক্ষণ দেই এবং উদ্ভাবনী যুদ্ধে মনোযোগ না দেই তাহলে আমাদের পক্ষে বিজয়ী হওয়া কঠিন হবে।’

এই নিবন্ধেটিতে দেখানো হয়েছে চীনের সেনাবাহিনীর কিছু কমান্ডার প্রযুক্তি সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কিভাবে পরিচালনা করতে হয় সে বিষয়েও তারা অজ্ঞ। প্রতিরক্ষা খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম সামরিক শক্তি হয়ে উঠার লক্ষ্য নিয়ে চীন তাদের সমস্ত অস্ত্র স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে কমান্ডারদের এ ধরনের অজ্ঞতা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন পিএলএ’কে ২০২৭ সালের মধ্যেই পুরোপুরি আধুনিক করে তোলার লক্ষ্য নির্ধারন করেছে। এ লক্ষ্যপূরণের ধারাবাহিকতায় গত বছরই অটোমেশন লক্ষ্য পূরণ করা হয়েছে।

ম্যাকাওয়ের বাসিন্দা সামরিক বিশ্লেষক অ্যান্টনি ওং টং বলেছেন, যৌথ অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যেই অস্ত্র ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় করে তোলা হয়েছে।

চীনের সেনাবাহিনীর প্রত্যেকটি শাখাকে সোভিয়েত ঘরানার বিচ্ছিন্ন না থেকে তাদেরকে সামরিক বাহিনীর সাইবার আর্ম হিসেবে পরিচিত স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের (এসএসএফ) সঙ্গে সংযুক্ত থেকে একত্রে কাজ করতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ওং বলেন, ‘পিএলএর স্থলবাহিনীর অপারেশন সিস্টেম মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন স্টাইলের। এসএসএফে তাদের সাইবার ফোর্সটি মূলত আমেরিকান সেনাবাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু শিখে নিয়েছে।’

বেইজিংভিত্তিক সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউয়ান ওয়াংয়ের গবেষক ঝু চেনমিং বলেছেন, সুবিশাল স্থলসেনাবাহিনীকে অপেক্ষাকৃত ছোট ও নমনীয় যোদ্ধা দলে পরিণত করার চাপ রয়েছে। যাতে করে তারা নতুন, হালকা ও আরো আধুনিক অস্ত্র পরিচালনা সক্ষম হয়ে উঠতে পারে। এই নতুন অস্ত্রগুলো গত শতাব্দীতে লোকবল প্রয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত অস্ত্রেও তুলনায় অনেক শক্তিশালী এবং হালকা।’

অতীতে অস্ত্র পরিচালনা বিষয়ে বেশিরভাগ সেনাসদস্যকে প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ দেয়া হতো, তবে এটি খুব কার্যকর পন্থা ছিলো না। এ ধরনের প্রশিক্ষণ প্রচুর ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ ছিলো। এটি আধুনিক তত্ত্ব মেনে চলতো না এবং যান্ত্রীকরণের লক্ষ্যও লঙ্ঘন করতো।

ঝু বলেন, খরচ কমানোর একটি উপায় হচ্ছে মার্কিন স্বশস্ত্র বাহিনীর কৌশল সিমুলেটর অনুসরন করা।

তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো তরুণ সেনারা কম্পিউটার গেমস ও প্রত্যক্ষ কুচকাওয়াচের ক্ষেত্রে নির্ভুলতা প্রকাশ করেছে; যদিও তারা বছরে একবার কি দুইবার সরাসরি গুলিনিক্ষেপ করেছে। এটি অব্যাহত রাখতে হলে কমান্ডারদের মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। অনথ্যায় তারা তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হবে।’

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.