১১ হাজার ৯০১ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

আজ মঙ্গলবার (৪ মে) ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৯০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে সভার বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

অনুমোদিত ১০ প্রকল্পের নয়টি নতুন এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘বিএসএমএমইউর অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন’ প্রকল্পটির মেয়াদ ও খরচ বৃদ্ধি করে সংশোধনী আজ অনুমোদন করা হয়।

প্রকল্পটির ব্যয় আগে ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা এখন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর ফলে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীতে খরচ বাড়লো ১৯৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এ ছাড়া ২০১৬ সাল (জানুয়ারি) থেকে ২০১৯ সালের (ডিসেম্বর) মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার কথা থাকলেও তা বাড়ানো ২০২২ সাল (জুন) পর্যন্ত।

নতুন ৯ প্রকল্প হলো- ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকায় ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন (প্রথম পর্যায়)’। এটি ২০২১ সালে (জানুয়ারি) শুরু হয়ে ২০২৩ সালে (জুন) শেষ হওয়ার কথা।

২০২১ সালের জুলাইয়ে শুরু হবে ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প। ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে।

‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ’-এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০২১ সালের মে মাসে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা প্রকল্পটি।

‘বাপবিবোর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়ে কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে।

৯১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ‘সাইনবোর্ড-মোড়েলগঞ্জ-রায়েন্দা-শরণখোলা-বগী সড়কের (আর-৭৭৩) ১৭তম কিলোমিটারে পানগুচি নদীর ওপর পানগুচি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। এর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের জুনে।

‘কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২১ সাল-২০২৫ সালে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।

৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার ‘রাঙ্গামাটি জেলার কারিগর পাড়া হতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। ২০২১ সালে (জানুয়ারি) থেকে ২০২৪ সাল (জুন) পর্যন্ত মেয়াদ এটির।

‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে।

১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নেয়া হয়েছে ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। এর ২০২১ সালে (জানুয়ারি) কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৪ সালে (জুন)।