জাপানে কুপিয়ে ১৯ জনকে হত্যা

জাপানের রাজধানী টোকিওর ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ১৯ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারী যুবক পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। হামলাকারীর উদ্দেশ্য ছিলো প্রতিবন্ধীদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।

২০০৮ সালের পর জাপানে এটিই এ ধরনের সবচেয়ে বড় হত্যার ঘটনা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে একটি বাজারে ঢুকে একজন ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে সাতজনকে মেরে ফেলে। এরও আগে ২০০১ সালে একই ধরনের ঘটনায় কয়েকজন প্রাণ হারান। ২০০১ ও ২০০৮ সালের ঘটনা দুটি ঘটেছিলো একই তারিখে।

সে হিসেবে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই জাপানে কুপিয়ে খুন করার সবচেয়ে ভয়াবহ নজির বলে সেখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে।

ঘটনাটি যে শহরে ঘটেছে তার নাম সাগামিহারা। হামলাকারী ওই সেবাকেন্দ্রে সাবেক একজন কর্মী। ঠিক কী কারণে তিনি এ ধরনের নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটনালেন সে বিষয়ে পুলিশ বা জাপান প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি।

জানা গেছে, জাপানের স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে হামলাকারী যুবক সেবাকেন্দ্রে ঢোকেন এবং নির্বিচারে ছুরি চালাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই ১৯ জন নিহত এবং আহত হন ২৬ জন। আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ রকম নির্মম ঘটনায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে জাপান। জাপান মনে করছে, এই ঘটনা মানবতার উপর এবং মানবতাবাদী জাপানিদের ঐতিহ্যে উপর বড় এক আঘাত। ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছে জাপানের পুলিশ।

আপনি আরো পড়তে পারেন

হিজাব পড়াকে বৈধতা দিল নাইজেরিয়া

ফ্লোরিডার নাইটক্লাবে গুলি, নিহত ২ আহত ১৭

মুক্তি পেলেন সালমান খান

স্কুলবাসে ট্রেনের ধাক্কা, ভারতে ৭ শিশুর মৃত্যু

জার্মানিতে বোমা হামলা, নিহত ১ আহত ১২