আপনি পড়ছেন

মিশরীয় বংশোদ্ভূত কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদের ডিন আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারজাভি ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং একাধিক গ্রন্থ লিখেছেন। এর মধ্যে ‘জেরুজালেম: বিশ্ব মুসলিম সমস্যা’ বইটি দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে। বইটির শুরুতেই ড. কারজাভি বলেন, জেরুজালেম রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব।

dr. karzavi

কারজাভি বলেন, জেরুজালেম ও মসজিদে আকসার সুমহান মর্যাদা সম্পর্কে মুসলমানদের কোনো দল-উপদল এবং মাজহাব দ্বিমত করেনি। সব মুসলিম স্কলার এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, মসজিদে আকসা মুসলমানদের ঈমানের অন্যতম নিদর্শন।

যুক্তি দেখিয়ে ড. কারজাভি কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে বলেন, পবিত্র কোরআনে এ মসজিদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রসুল (সা.) মেরাজের রাতে এখানে সব নবীর রুহানি উপস্থিতিতে নামাজ পড়িয়েছেন। মেরাজের উদ্দেশ্য যদি কেবল আরশে আজিম ভ্রমণ হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সা.)-কে মক্কা থেকেই সরাসরি আরশে আজিম নিয়ে যেতেন।

আল্লামা কারজাভি বলেন, মসজিদে আকসা হলো ঊর্ধ্বজগতে ভ্রমণের শেষ ভূমি। এখান থেকেই রাসুল (সা.)-এর মিরাজ ভ্রমণ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারটা ইঙ্গিত করে, আগামী বিশ্বের নেতৃত্ব এবং জেরুজালেমের দায়িত্ব মুসলমানদের হাতেই থাকবে। আর মুসলমানরাই দুনিয়া ও আকাশ জগতের মাঝে সেতুবন্ধনের নেতৃত্ব দেবে।

ওই বইয়ে কারজাভি বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করে যাচ্ছে আর একদল মুসলিম নেতা চোখ বন্ধ করে আছে। তারা আসলে মুনাফেক।

ড. কারজাভি মূলত মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার লেখনী ও আলোচনার মাধ্যমে লড়াই করে যাচ্ছেন। যখন আরবের কোনো কোনো শায়েখ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের সন্ত্রাস ফতোয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া মুসলিমদের সন্ত্রাস বলে প্রচার করেছে, তখন তিনি গর্জে উঠে বললেন, আক্রমণের বিপরীতে আত্মরক্ষামূলক আক্রমণ কখনোই সন্ত্রাসী কার্যক্রম হতে পারে না। ফিলিস্তিনের মুসলিম যোদ্ধারা সবাই মুজাহিদ বলেও একাধিক বইয়ে ফতোয়া দিয়েছেন তিনি।

বিস্তারিত জানতে পড়ুন- জেরুজালেম: বিশ্বমুসলিম সমস্যা, ড. ইউসুফ আল কারজাভি

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর