ঈদের শুভেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী, আগে মানুষের জীবন

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে করোনার মহমারির মধ্যে ঈদ হওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি। বলেছেন, সবার উপরে মানুষের জীবন। বেঁচে থাকলে আগামী বছরও আনন্দ-ঘন পরিবেশে ঈদ করা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব থেকে মানুষের জীবনের মূল্য বেশি। তাই যে যেখানে আছেন, সেখানেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করুন। একই সঙ্গে সমাজের স্বচ্ছল শ্রেণির মানুষের প্রতি তার পার্শ্ববর্তী দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ঈদের আগের দিন আজ বহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, উদযাপনের এই উপলক্ষ যেন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ না হয়ে উঠে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে আপনারা যাবেন না। অনেকের ক্ষেত্রে বাহ্যিক লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ায় আপনি হয়তো বুঝতেই পারবেন না যে, আপনার পাশের লোকটিই করোনায় আক্রান্ত এবং এ রকম অনেকেই ভাইরাসটি বহন করছে।

তাই নিষেধাজ্ঞা উপক্ষে করে আপনারা যারা দেশের বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন, তারা নিজেরাও করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়ছেন, আবার নিকটাত্মীয় বা পাড়া-প্রতিবেশীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবার ওপরে মানুষের জীবন, সেটা মনে রাখবেন। বেঁচে থাকলে আগামী বছর আবার আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারব।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানের দুই পঙক্তি পাঠ করেন। গত বছরও মহামারির মধ্যে ঈদুল ফিতর হয়। ওই সময়ও জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।