জয়: চীনকেও ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের জিডিপি

বাংলাদেশের জিডিপি শুধু ভারত বা পাকিস্তানকেই নয়, চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয়, ফাইল ছবি

জাতিসংঘের এক ভার্চুয়াল সেমিনারে মঙ্গলবার সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, চলমান করোনার মহামারির মধ্যেও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে গেছি। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে কোভিড-১৯ এর এই মহামারির মধ্যেও লকডাউনকালীন দ্রুত অনলাইন সরকার ব্যবস্থাপনা, অনলাইন শিক্ষা এবং অনলাইন কর্মপরিবেশে নিজেদেরকে পরিবর্তিত করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজ মোবাইল ফোনভিত্তিক কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পদ্ধতি এবং সরাসরি কোভিড তথ্য-সহায়তা চালু করা হয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে কম সংক্রমণ হারের দেশের তালিকায় অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত দূরদর্শী পদক্ষেপ ডিজিটাল বাংলাদেশ- এর আরো বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

জাতিসংঘের ভার্চুয়াল সেমিনার

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আজ থেকে ১২ বছর আগে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৩ ভাগ। এখন ১১৬ মিলিয়ন মানুষ সুলভ ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ।

নিজস্ব উপায়ে ও স্বল্প খরচে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জ্ঞান ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতি ও সেবা সৃষ্টি করতে পেরেছে বাংলাদেশ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ। পৃথিবীর কোনো দেশ যদি দ্রুত ডিজিটাল পদ্ধতিতে উত্তরণ ঘটাতে চায়, তাহলে আমরা আমাদের সেবা ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তাদের সহায়তা করতে সদা প্রস্তুত আছি, বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।