আপনি পড়ছেন

রাফে আরবি শব্দ। অর্থ উঠানো। ইয়াদাইন শব্দটি ইয়াদুন এর দ্বিবচন। অর্থ দুই হাত। রাফে ইয়াদাইন অর্থ দুই হাত উঠানো। নামাজে রুকুতে যাওয়ার আগে, রুকু থেকে উঠে, সেজদায় যাওয়ার সময়, সেজদা থেকে ওঠে দুই হাত কাঁধ বা বুক পর্যন্ত উঠানোকে শরিয়তের দৃষ্টিতে রাফে ইয়াদাইন বলা হয়।

salat নামাজ আদায়ের দৃশ্য

আমাদের দেশে রাফে ইদায়াইন নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া করতে দেখা যায়। একদল বলেন রাফে ইয়াদাইন করতেই হবে, আরেকদল মনে করেন, রাফে ইয়াদাইন করা মানে সে ধর্ম থেকেই খারিজ হওয়ার পথে পা বাড়াল।

এ ধরনের কট্টর মানসিকতার ব্যাপারে সালফে সালেহিনরা বারবার সতর্ক করেছেন। মনে রাখতে হবে, কোনো ইমাম রাফে ইয়াদান করাকে ফরজ বা ওয়াজিব বলেননি। যারা রাফে ইয়াদাইন করেন, তারা বলেন এটা সুন্নাত। আর যারা করেননি, তারা বলেন, এ হাদিসগুলো প্রমাণিত নয় অথবা রাসুল (স.) পরবর্তীতে এভাবে বারবার হাত উঠাননি বা নিষেধ করেছেন।

namaz 2নামাজে সিজদাহর দৃশ্য

মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানাভীকে (রহ.) রাফে ইয়াদাইন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন, নামাজে হাত বাঁধা সুন্নাত। কেউ যদি হাত না বেঁধেও নামাজ আদায় করেন, তাতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি বলেন, হানাফিরা তাকবিরে তাহরিমা বা প্রথম তাকবিরের সময় হাত তুলেন বা রাফে ইয়াদাইন করেন। আর অন্য সময় রাফে ইয়াদাইন না করা মুস্তাহাব।

মুফতি ইউসুফ লুধিয়ানাভী একজনের প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাফে ইয়াদাইন না করলে নামাজ হবে না, কেউ যদি এ ধারণা করেন তবে তা সঠিক নয়। কেননা, হাদিস শরিফ থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত যে, রাসুল (স.) রাফে ইয়াদাইন ছাড়াও নামাজ পড়তেন। ইমাম আবু হানিফার (রহ.) এ হাদিসগুলোর ওপর আমল করেছেন এবং ফতোয়া দিয়েছেন।

যারা রাফে ইয়াদাইন করেন, তারা এটিকে সুন্নাত বা মুস্তাহাব হিসেবে করেন, ওয়াজিব হিসেবে নয়। সুনানে বাইহাকিসহ কয়েকটি কিতাবে এসেছে, রাসুল (স.) জীবনভর রাফে ইয়াদাইন করেছেন। এসব হাদিসের ব্যাপারে মুফতি লুধিয়ানাভী বলেন, হাদিস গবেষকদের দৃষ্টিতে এ হাদিসগুলো দুর্বল এবং কোনো কোনোটা আবার মওজু বা জাল।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর