শিরোনাম দেখে আপনি অন্তত একবার হলেও চোখ কচলেছেন। সূর্যও কৃত্রিম হয় নাকি? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সময়সাপেক্ষ। তবে মানুষ চেষ্টা শুরু করেছে, সফলভাবে সম্পন্ন করেছে প্রথম ধাপ। এরই মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়েও উত্তপ্ত একটি ইলেকট্রন উৎপাদন করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা আশাবাদী, একদিন মানুষের দখলে থাকবে কৃত্রিম সূর্য।

the sun

৩৫ বছরের দীর্ঘ চেষ্টার পর প্রথম ধাপটি সম্পন্ন করেছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে প্রযুক্তির যে বিস্ময়কর উত্থান, তাতে পরবর্তী ধাপগুলো আরও সহজ এবং দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা। তাছাড়া এর পেছনে কাজ করেছ এক ঝাঁক মেধাবী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী।

সূর্যকে এককথায় বলা চলে সমস্ত শক্তির উৎস। যে পদ্ধতিতে এই শক্তি উৎপন্ন হয়, তার নাম ফিউশন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সময় লাগলেও ঘটানো সম্ভব কৃত্রিম ফিউশন বিক্রিয়া। দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু মিলে একটি হিলিয়াম পরমাণু তৈরির এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়।

the sun 1

হাইড্রোজেন পরমাণু দুটির মোট ভরের চেয়ে উৎপন্ন হিলিয়াম পরমাণুর ভর কিছুটা কম হয়। সেই ভরটি আইনস্টাইনের E=mc² সূত্রের নিয়ম মেনে শক্তিতে পরিণত হয়। এটিই সূর্য নামক নক্ষত্রের আলো ও তাপ শক্তির উৎস।

এ নিয়ে গবেষণা করার জন্য ২০০৬ সালে চীন ‘এক্সপেরিমেন্টাল অ্যাডভান্সড সুপারকন্ডাক্টিং টোকাম্যাক’ নামের একটি পরীক্ষাগার তৈরি করে। তবে এক্ষেত্রে যে দামি যন্ত্রপাতি ও ব্যয়বহুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন তা শুধু একটি দেশের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এজন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিয়েক্টর’ নামের যৌথ প্রকল্পে চীন, জাপান, রাশিয়াসহ কয়েটি দেশ কাজ করছে।

কোনো উপায়ে কৃত্রিমভাবে ফিউশন বিক্রিয়া ঘটানো গেলে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে শক্তি নিয়ে আমাদের যত রকম সমস্যা আছে, সবগুলোর সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.