বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্র
- Details
- by মাহফুজ সাদি
পৃথিবীর বর্তমান মানচিত্র পরিবর্তন করে নতুন মানচিত্র প্রকাশের কথা জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি। ১৩০ বছরের অন্বেষণের পর বিশ্ব মহাসাগর দিবসের দিন মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
পৃথিবীর নতুন মানচিত্র
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি জানায়, অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে বিশালাকারের জলাশয় দেখা যাচ্ছে, যা নতুন মানচিত্রে দক্ষিণ মহাসাগর হিসেবে পরিচিতি পাবে। এর ফলে সেটি হবে পৃথিবীর পঞ্চম মহাসমুদ্র।
এ বিষয়ে সংগঠনটির ভূগোলবিদ অ্যালেক্স টেইট বলেন, দক্ষিণ মহাসাগরের ধারণাটি নতুন নয়, বরং অনেক আগে থেকেই স্বীকার করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তি না থাকায় এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি সেটি, যা এবার দেয়া হচ্ছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি
ভৌগোলিক বিশেষত্বের জন্য ওই অঞ্চলটি আলাদা তালিকায় রেখে গবেষণা চলে আসছে। এর প্রধান কারণ হলো- পৃথিবীর অন্য মহাসাগরগুলোর সঙ্গে পরিবেশগতসহ বেশ পার্থক্য রয়েছে দক্ষিণ মহাসাগরের।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে যে মানচিত্রটি রয়েছে, তা নির্ধারণ করা হয় ১৯১৫ সালে। সে সময় পৃথিবীতে ৪টি মহাসাগর তালিকাভুক্ত করেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কার্টোগ্রাফাররা।
পৃথিবীর মানচিত্র
সেগুলো হলো- আটলান্টিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগর। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ মহাসাগরকে দেখানো হয় আটলান্টিক, প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের সম্প্রসারিত অংশ হিসেবে।
এতদিন এভাবে দেখা হলেও সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকার পানিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। সেটি হচ্ছে- প্রধানত পানির স্রোত, যা অন্য মহাসাগর থেকে আলাদা করেছে এটিকে।
পৃথিবীর নতুন মানচিত্র
পানি ঠান্ডা ও লবণাক্ততা কিছুটা কম থাকার এই বৈশিষ্ট্যকে অ্যান্টার্কটিক সার্কোপোলার কারেন্ট বলা হচ্ছে। এটি সমুদ্রের গভীরে কার্বন সংরক্ষণে সহায়তা এবং পৃথিবীর জলবায়ুতে গুরুতর প্রভাব ফেলে থাকে।
পুরো বিষয়টিকে ‘মন্ত্রমুগ্ধকর উপলব্ধি করার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন সামুদ্রিক বিজ্ঞানী সেঠ সিকোড়া বডি। এই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকর বলছেন, হিমবাহ, ঠান্ডা বাতাস ও হিমশীতল পাহাড়ের মাঝখানে শোভা পাচ্ছে নীল জলরাশি। ভূস্বর্গীয় এই দৃশ্যটিকেই আমরা দক্ষিণ মহাসাগর বলছি।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর