বিদায়ের আগে ‘আরেক বিতর্কের’ জন্ম দিলেন ভিসি কলিমুল্লাহ
- Details
- by শিক্ষা
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য পদে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর শেষ দিন ১৩ জুন। তার আগে গতকাল বুধবার গভীর রাতে অনলাইনে একটি ক্লাস নিয়েছেন তিনি।
জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ক্লাস নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগটির একজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ‘পলিটিক্যাল থট’ কোর্সের ক্লাসটি রাত ৩টায় শুরু হয়, শেষ হয় রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে।
জানা গেছে, ক্লাসটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের। আগেই ঘোষণা দিয়ে এই ক্লাস নেয়া হয়, যাতে অংশ নেন মাত্র ২৮ জন শিক্ষার্থী। কারণ গভীর রাতে হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারেননি।
নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সাবেক প্রধান। তবে গভীর রাতে ক্লাস নেয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বর্তমান বিভাগীয় প্রধান হুমায়ুন কবিরের।
এ বিষয়ে বিদায়ের পথে থাকা উপাচার্য কলিমুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি। তবে ঘটনাটিকে ‘খুবই লজ্জাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন শিক্ষকদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’র আহ্বায়ক ড. মতিউর রহমান।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এই ঘটনা নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ড. হাসিবুর রশীদকে। এর আগে তিনি সেখানকার ট্রেজারারের দায়িত্বে ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে নতুন ভিসিকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করাসহ চারটি শর্ত দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বেরোবিতে আলোচিত ভিসি কলিমুল্লাহ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে, যিনি পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে বার বার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনারও শেষ নেই। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ও শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে দুটি হাজিরা খাতা টাঙিয়ে দেয় ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’। তাতে দেখা যায়, ভিসি কলিমউল্লাহ তার ৪ বছরে ১৪৪৭ দিনের মধ্যে ১২০৭ দিনই অনুপস্থিত ছিলেন। এর বিপরীতে বেরোবি ক্যাম্পাসে ছিলেন মাত্র ২৪০ দিন।
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের তথ্য বলছে, বেরোবিতে ভিসি পদে ২০১৭ সালের ১ জুন নিয়োগ পান অধ্যাপক কলিমুল্লাহ। তার মেয়াদ পূর্ণ হয় চলতি বছরের গত ৩১ মে।
এর আগে সম্প্রতি কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির নানা অভিযোগ পাওয়ার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এক সংবাদ সম্মেলনে কলিমুল্লাহ দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর