আপনি পড়ছেন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী বছর থেকেই প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমে প্রোগ্রামিং শেখার পাঠ্যবই যুক্ত হচ্ছে। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (এনএইচএসপিসি) সমাপনী অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার এ কথা জানান তিনি।

programming book primary educationপ্রাথমিকে যুক্ত হচ্ছে প্রোগ্রামিং পাঠ্যবই, ফাইল ছবি

ডিজিটাল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, আগামী বছর থেকেই প্রাথমিকে প্রোগ্রামিং শিক্ষার পাঠ্যবই যুক্ত করা হচ্ছে। শুধু শ্রমনির্ভর অর্থনীতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না। এ জন্য শ্রমনির্ভর অর্থনীতির পাশাপাশি মেধাকেও সঠিকভাবে ও আরো বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই কেবল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছা যাবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মেধাবী তরুণরা শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ নয়, বরং ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে। আমরা যদি তাদের সুযোগ্য করে গড়ে তুলতে চাই এবং তাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই তাহলে তাদের আবশ্যিকভাবেই কম্পিউটারের ভাষা প্রোগ্রামিং শেখাতে হবে।

state minister ict palakআইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

প্রসঙ্গত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এ বছর ‘জানুক সবাই দেখাও তুমি’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রোগ্রামিং শেখানোর লক্ষ্যে অনলাইনেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এ সময় তরুণদের স্বপ্ন পূরণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, পৃথিবীর সব ভাষাতেই যোগাযোগ করা যাবে যদি ভবিষ্যৎ দক্ষতা নির্ভর প্রযুক্তির ভাষা প্রোগ্রামিং জানা থাকে। এ ছাড়া আগামীতে যখন ড্রাইভারলেস গাড়িগুলো চলবে, তখন সেগুলো চালানোর জন্য কিন্তু প্রোগ্রামিং জানতে হবে।

বুয়েটের সহযোগিতায় ৯ ধরনের ভাষা শেখার জন্য ‘ভাষাগুরু’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করার কথা জানিয়ে পলক বলেন, এখন ভাষা না শিখেও কেউ যদি সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন, সেই অ্যাপ্লিকেশন যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে স্প্যানিশ বা আরবি না শিখেও প্রযুক্তির ভাষা জানার কারণে পৃথিবীর সব ভাষাতেই যোগাযোগ করা যাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ।