ইরানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি সই করে বিশ্বের শক্তিধর ছয় জাতি-গোষ্ঠী। এতে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, যা আজ অবধি পূরণ না করার অভিযোগ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইইউর পররাষ্ট্র নীতির উপ-প্রধান এনরিক মোরা

এর মধ্যেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে হওয়া চুক্তিটি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে যায় ওয়াশিংটন। চুক্তি ছেড়ে তেহরানের ওপর ফের দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন ওবামার উত্তরসূরী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশকে আবারো চুক্তিতে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনের সময়। এর অংশ হিসেবে সব পক্ষের মধ্যে গত এপ্রিল থেকে আলোচনা চলছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।

পরমাণু সমঝোতায় ইরানসহ অন্য পক্ষগুলোর নেতারা, ফাইল ছবি

পার্সটুডে জানায়, পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার আলোচনার মধ্যেই একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল এক সম্মেলন শেষে দেশ দুটি তাতে জানায়, ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার পরমাণু সমঝোতার জরুরি অংশ।

ভিয়েনায় চলা আলোচনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতিতে স্বীকার করা হয় যে, পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে ইরানের সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন যেমন জরুরি, তেমনই তেহরানের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাও জরুরি।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা

প্রসঙ্গত, ইরানি নেতারা আগে থেকেই বলে আসছেন, সমঝোতাটি পুনরুজ্জীবিত করতে হলে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। আচরণে পরিবর্তন এনে সমঝোতায় ফিরতে হবে ওয়াশিংটনকে। কিন্তু এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করা হলো।