চীন সীমান্তে সুপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র বসাচ্ছে ভারত

চীন ও ভারত সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানের আক্রমণাত্মক বক্তব্যের পর এবার সীমান্তে সুপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র বসাতে যাচ্ছে ভারত। ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার চীন সীমান্ত বরাবর ব্রহ্মোস নামের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনায় সায় দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, দেশের পূর্ব প্রান্তে সুরক্ষা আরো শক্তিশালী করতে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৪৩ শত কোটি টাকা। এটা সরকার অনুমোদিত ভারতের চতুর্থ ব্রহ্মোস রেজিমেন্ট। যার আওতায় থাকছে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, পাঁচটি মোবাইল নিয়ন্ত্রিত রকেট লঞ্চারসহ আরো অনেক কিছু। আর আধুনিক এইসব সমরাস্ত্র বসানো হবে হেভি ডিউটি ট্রাকে।

জানা যায়, এই সমরাস্ত্রগুলো একটি মোবাইল কমান্ড পোস্ট থাকছে। এর আগে ভারত এই ক্ষেপনাস্ত্রটির বেশ কয়েকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। ২০১৫ সালের মে মাসে পূর্ব সেক্টরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানো হয়। সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২৯০ কিমি পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারে। আর সবচেয়ে চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হলো এটি পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শত্রু শিবিরেও নির্ভূলভাবে আঘাত করতে সক্ষম।

সূত্র অনুযায়ি, ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই ব্রহ্মোসের তিনটি রেজিমেন্টকে সামিল করেছে। যার প্রতিটি শক্তিশালী মিসাইলের ব্লক-থ্রি সংস্করণের। ২০০৭ সাল থেকে ব্রহ্মোসের ভূমি থেকে আক্রমণের সংস্করণটি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছে। বিশেষ এই ক্ষেপনাস্ত্রটি সাবমেরিন, বিমান, জাহাজ বা ভূমি, যেকোনো জায়গা থেকেই নিক্ষেপ করা যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রহ্মোস নামের এই ক্ষেপনাস্ত্রটি শত্রু পক্ষের আকাশের প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে ভূমিতে থাকা নিশানায় আঘাত করতে পারে। একবার ছুঁড়ে দেয়া হলে ক্ষেপনাস্ত্রটিকে আর কোনো নির্দেশনা দিতে হয় না। আধুনিক এই ক্ষেপনাস্ত্র মোতায়েনের ফলে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা নতুন মোড় নিল। তবে এর প্রতিবাদে চীন কি ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিল সেটা এখনো জানা যায়নি।

আপনি আরো পড়তে পারেন

ট্রাম্প: ওবামা ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট

বনাঞ্চল কাটা নিষিদ্ধ করা হলো নরওয়েতে

জাপানের জলসীমায় গিয়ে পড়লো উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র

২৭৫ যাত্রী নিয়ে দুবাইয়ে ভেঙে পড়লো বিমান

কাশ্মিরের যে ছবিতে বিশ্বে তোলপাড়