মানবাধিকারকর্মীর মৃত্যু, মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবি

ফিলিস্তিনে এক মানবাধিকারকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। নিজার বানাত নামের ওই মানবাধিকারকর্মী ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, ফাইল ছবি

পশ্চিম তীরের আল-খলিল শহরের বাসিন্দা ছিলেন নিজার বানাত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনী তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পরই তার মৃত্যু হয়। এ বছর ফিলিস্তিনে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ওই মানবাধিকারকর্মীর।

পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ দখলদার ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর শাসন করে। পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষকে প্রচুর অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে। যার বিরোধিতা করতেন নিজার বানাত।

মানবাধিকারকর্মী নিজার বানাতের মৃত্যুর প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ

খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে এই অর্থায়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন ওই মানবাধিকারকর্মী। কারণ নিজার বানাত অভিযোগ করতেন যে, বিদেশি শক্তিগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহার করে ফিলিস্তিনের সরকার কর্তৃত্বপরায়ন হয়ে উঠছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

এদিকে, নিজার বানাতের মৃত্যুর ঘটনায় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এর পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানানো হয়নি।

অন্যদিকে, বানাতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- ফিলিস্তিনি বাহিনী জোর করে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। ওই সময় ঘুমাচ্ছিলেন নিজার বানাত। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘরে ঢুকেই তাকে আঘাত করতে থাকে। সে সময় চিৎকার করছিলেন বানাত। পরিবারটির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, গত মে মাসেও তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

খবরে বলা হয়েছে, নিজার বানাতের মৃত্যুর খবর যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন পশ্চিম তীরে ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।