ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে থেমেছে ইতালির স্বপ্নযাত্রা। দুবছর বাদে তো বিশ্বকাপের টিকিটই পায়নি আজ্জুরিরা। বিশ্বকাপ খেলতে না পারার শোকটাকে পরবর্তীতে শক্তিতে রুপান্তর করেছে ইতালিয়ানরা। প্রায় অবিশ্বাস্য গতিতে ছুটছে তারা। দাপুটে পারফরম্যান্সে ইউরোর চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা করে নিয়েছে ইতালি।

italy vs austria euro

মূলপর্বে এসেও বাছাইয়ের ছন্দটা ধরে রেখেছে। এবারের আসরে গ্রুপপর্বে যে তিনটি দল শতভাগ জয়ের নজির গড়ে নক আউট পর্বে উঠেছে তার একটি ইতালি। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলটার আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাঁচা-মরার যুদ্ধ। নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে আজ্জুদের প্রতিপক্ষ ‘নীরব ঘাতক’ ডেভিড আলাবার অস্ট্রিয়া। পা হড়কালেই বিপদ!

তেমন কিছু হলে সেটা হবে বড় একটা অঘটন। কারণ সাম্প্রতিককালে আগুনে ফর্মে আছে ইতালি। জিতেছে টানা ১১ ম্যাচে। আরেকটি অবাক করা তথ্য হচ্ছে, ম্যাচগুলোতে কোনো গোল হজম করেনি সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে ইতালির সবচেয়ে বড় স্বস্তি অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনির শতভাগ ফিট হয়ে ওঠাটা।

italy football team

ইতালির প্রধান কোচ রবার্তো মানচিনি তাকে মাঠে নামাবেন কিনা- সিদ্ধান্তটা তার। কারণ কিয়েলিনির অনুপস্থিতিতে ওয়েলসের বিপক্ষে রক্ষণ ভালোই সামলেছেন ফ্র্যান্সিকো অ্যাসারবি। সেই হিসেবে আজকের শুরুর একাদশে থাকতে পারেন তিনি। তবে কিয়েলিনির ফেরা না হলেও একাদশে ফিরবেন বেশ কয়েকজন তারকা। যাদের আগের ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছেন মানচিনি।

ইনজুরি আছে অস্ট্রিয়া শিবিরেও। তবে দলের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মার্টিন হিন্টেরেগার এবং ফ্লোরিয়ান গ্রিলিটসের চোট হালকা। দুজনেরই মাঠে নামার সম্ভাবনা প্রবল। আগের ম্যাচে হালকা চোট পাওয়া ক্রিস্টোফ বামগার্টনারও থাকতে পারেন একাদশে। তবে ইনজুরির কারণে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ভ্যালেন্টিন লাজারোকে পাচ্ছে না অস্ট্রিয়া।

euro 2020 team austria

বাংলাদেশ সময় রাত একটায় লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অস্ট্রিয়াকে মোকাবেলা করবে টুর্নামেন্টের ফেভারিট ইতালি।

ম্যাচ ফ্যাক্টস

ইতালির বিপক্ষে শেষবার অস্ট্রিয়া জিতেছে ১৯৬০ সালে। এই দলটার বিপক্ষে শেষ ১৩ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে আজ্জুরিরা। তন্মধ্যে দশটিতেই জিতেছে ইতালি। ২০০৮ সালের আগস্টে শেষবারের দেখায় অবশ্য ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।

euro 2020 logo

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ ইতালি-অস্ট্রিয়ার। তবে বিশ্বকাপে চারবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। সবকটি ম্যাচেই অস্ট্রিয়াকে এক গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ইতালি।

সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩০ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে ইতালি (জয় ২৫টি)। আজ না হারলেই ৮২ বছরের ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ ম্যাচে অজেয় থাকার রেকর্ডটি ভেঙে ফেলবে ইতালি। আজ জিতলে টানা ১২ জয়ের নতুন রেকর্ড হবে আজ্জুরিদের।

সবশেষ ১১ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে ইতালি। এ সময় ৩২টি গোলের বিপরীতে কোনো গোল হজম করেনি তারা। সময়ের হিসেবে ১৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ধরে অক্ষত আছে ইতালির জাল। শেষবার ইতালি গোল হজম করেছে গত বছরের অক্টোবরে উয়েফা নেশনস লিগে। সেই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা।

মৌলিক কোনো টুর্নামেন্টে এ নিয়ে চতুর্থবার গ্রপপর্বের তিন ম্যাচ জিতেছে ইতালি। ১৯৭৮ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপের পর ২০০০ ইউরোতে শতভাগ জয়ের নজির দেখিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে তারা।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষ ছয়বার খেলতে এসে একবারই হেরেছে ইতালি। ড্র করেছে তিন ম্যাচে; জিতেছে দুটিতে। একমাত্র হারটা ১৯৭৭ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। সবকটি ম্যাচ অবশ্য তারা খেলেছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এবারই প্রথম নক আউট পর্বে উঠেছে অস্ট্রিয়া। তবে মৌলিক টুর্নামেন্টের হিসেবে এটা তাদের দ্বিতীয় নক আউট পর্ব। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা।

আগের দুবার ২০০৮ ও ২০১৬ সালে ইউরোতে খেলতে এসে কোনো জয় পায়নি অস্ট্রিয়া। এবারের আসরে গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছে তারা।

লন্ডনে ছয়বার খেলতে এসে চারবারই হেরেছে তারা। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তাদের সবচেয়ে বড় হারটা ১৯৭৩ সালে। ওই বছর প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ৭-০ গোলে চূর্ণ করেছিল ইতালি।

এবারের আসরে গ্রুপপর্বে নয়টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন ডেভিড আলাবা। যা অস্ট্রিয়ান ফুটবলারদের মধ্যে অন্তত চারটি বেশি।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.