আপনি পড়ছেন

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বেড়েই চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির দৈর্ঘ্য। শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশেষ করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে গত বছরের মতো অটোপাস নয়, এবার ‘বিকল্প পরিকল্পনা’ নিয়ে এগুচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগিরই তা জানিয়ে দেয়া হবে।

ssc exam 1

সরকারের প্রথম পরিকল্পনা হলো শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে হলেও পরীক্ষা নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। যদি আগস্ট মাসের কোনো এক সময়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়, তাহলে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুবে প্রশাসন।

আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫০ দিনের পাঠদান শেষে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে, এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৮০ দিন পাঠদান শেষে। ঢাকা বোর্ডের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দুটি প্রকাশ করা হয়েছে।

bd update 8may

বিকল্প পরিকল্পনা হলো- এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ওপর বাকি ৫০ শতাংশ মূল্যায়নের মাধ্যমে ফল প্রকাশ। একইভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলের ২৫ শতাংশ, এসএসসি বা দাখিল পরীক্ষার ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ওপর বাকি ২৫ শতাংশ মূল্যায়নের মাধ্যমে ফল প্রকাশ।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তারপর থেকে একের পর এক এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণায় এই ছুটি গিয়ে পৌঁছেছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বর্তমানে সংক্রমণের যে পরিস্থিতি তাতে এই তারিখেও খোলার সম্ভাবনা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।