আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার: শঙ্কিত চীন

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্যেই জিনজিয়াংয়ে ‘সন্ত্রাসী গ্রুপ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। কারণ সেনা প্রত্যাহারেরর ফলে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইম) বিদ্রোহী গ্রুপ সক্রিয় হতে পারে এবং সীমানা অতিক্রম করে চীনের জিনজিয়াংয়ে প্রবেশ করতে পারে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সালমান রাফি শেখ বলেছেন, ‘ইটিআইএম তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নামেও পরিচিত। এটি সংখ্যালঘু উইঘুরদের একটি গ্রুপ যারা আফগানিস্তানে সক্রিয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে জিনজিয়াংয়ের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছে এবং এর লক্ষ্য জিনজিয়াংয়কে ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ পরিণত করা।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধেও এই গ্রুপটি সক্রিয় এবং ইদলিব ও দেশটির উত্তরাঞ্চলে এর তৎপরতা রয়েছে। ২০০২ সাল থেকে জাতিসংঘ একে ‘সন্ত্রাসী গ্রুপ’ বলছে। ২০২০ সালের নভেম্বররে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইটিআইম-কে তাদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। ওই সময়ে গ্রুপটি সক্রিয় কিনা সে ব্যাপারে কোনো তথ্য ছিল না।

এশিয়া টাইমসে বিশেষজ্ঞ সালমান রাফি বলেন, ‘সেনা প্রত্যাহারের ফলে বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় হতে পারে। ইটিআইম চীনের উইঘুর নির্যাতন নিয়ে ব্যাপক অসন্তুষ্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেইজিং কেবল পার্শ্ববর্তী আফগানিস্তানে মৌলবাদ বিকাশ নিয়েই উদ্বিগ্ন নয়। এই অঞ্চলে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভেও চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কাও করছে দেশটি।’

২০০৮ সালে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইটিআইএম’র আটজন সদস্যের তালিকা দেয়। ওই বছর বেইজিং অলিম্পিকে হুমকির ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।

জাতিসংঘ সিকিউরিটি কাউন্সিলের বরাতে বিশেষজ্ঞ সালমান রাফি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানে ইটিআইম সদস্যদের অস্তিত্ব কেবল অস্বীকারই করেনি, এর মাধ্যমে এজেন্ডা বাস্তবায়নও করেছে।

সূত্র: এএনআই