বেশি কর্নার, ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন!

প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠলেও স্বপ্নপূরণ হলো না ইংল্যান্ডের। রোববার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে ইংলিশদের ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ইতালি। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় এমনিতেই শোকে কাতর হয়ে আছে ইংল্যান্ড। তাদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।

এর প্রেক্ষাপট বুঝতে ফিরে যেতে হবে দুই বছর আগে। লর্ডসে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দুই দলই করে সমান রান। অবিশ্বাস্যভাবে সুপার ওভারেও ভাঙেনি সমতা। পরে অদ্ভুত এক নিয়মের ওপর দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ম্যাচে ইংলিশদের চেয়ে কম বাউন্ডারি মারায় শিরোপাবঞ্চিত করা হয় নিউজিল্যান্ডকে। ট্রফি দেওয়া হয় ইংল্যান্ডকে।

ফাইনালের সেই দুঃখ আজও ভুলতে পারেনি কিউইরা। ম্যাচ চলাকালীনও বেশ কিছু অন্যায্যতার শিকার হয়েছেন উইলিয়ামসনরা। তখন অবশ্য মুখ ফুটে ইংল্যান্ডকে কিছুই বলেনি শান্তিপ্রিয় নিউজিল্যান্ড। দুঃস্বপ্নের সেই ম্যাচের দুই বছর পর ইংলিশদের খোঁচা মারল কিউইরা। প্রেক্ষাপট অবশ্যই ইউরো ফাইনাল। ইংল্যান্ডরা যখন হারের শোকে ব্যকুল তখন তাদের নিয়ে বিদ্রুপে মেতে উঠেছেন অনেকেই।

সেই তালিকায় আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিস ও বর্তমান ক্রিকেটার জিমি নিশাম। টাইব্রেকারে হারা ইংল্যান্ডকে ইউরো শিরোপা দেওয়ার দাবি জানালেন তারা। স্টাইরিসের মতে ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে বেশি কর্নার করেছে ইংল্যান্ড। তাই আজ্জুরিদের বদলে ইংলিশদের চ্যাম্পিয়নশিপের দাবি তুলেন তিনি। আর নিশামের মতে, ইতালি বেশি বল পাস করেছে তাই পেনাল্টির প্রয়োজন নেই!

এই দাবি যে দুই বছর আগের ফাইনালের খোঁচা তা বুঝতে বেগ পাওয়ার কথা নয় ক্রীড়াপ্রেমীদের। কালকের ইউরোর ফাইনাল শেষে স্টাইরিস টুইটারে টুইট করেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না…ইংল্যান্ড বেশি কর্নার করেছে…কাজেই তারাই চ্যাম্পিয়ন।’ নিশাম অবশ্য আরো তাচ্ছিল্য করেছেন ইংল্যান্ডকে। তারি যুক্তির ধরনও প্রায় একই।

তাই টাইব্রেকারের আগেই ইতালিয়ানদের কাপ তুলে দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন নিশাম। মজা করেই টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কেন এটা পেনাল্টি শ্যুট আউটে যাবে এবং যারা বেশি বল পাস করেছে তারা জিতবে না?... মজা করছিলাম।’ ফাইনালে ইংল্যান্ডের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বল পাস করেছে ইতালি। আজ্জুরিদের পাস ছিল ৮২০টি। আর ইংলিশদের ৪২৬টি।

ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয়েছে ১-১ ড্রয়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ফলটা একই থাকল। ম্যাচে ইংল্যান্ড বেশি কর্নার করেছে। তাদের কর্নার ছিল পাঁচটি এবং ইতালির তিনটি। স্টাইরিস ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করছেন কর্নারকে মানদন্ড ধরে! আর নিশাম মানদন্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছেন বল পাসিংকে!