শিথিলের পর ১৪ দিন বন্ধ সব অফিস-গণপরিবহন

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে এর আগে গত ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রথমে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ দিনের (১৫ থেকে ২২ জুলাই) জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে ২৩ জুলাই থেকে আবারো ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা ওই বিধিনিষেধে সারাদেশে সব অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।

শিথিলের পর ১৪ দিন বন্ধ সব অফিস-গণপরিবহন, ফাইল ছবি

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। আবার একই প্রজ্ঞাপনে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধের সময় সব ধরনের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সব ধরনের গণপরিবহন এবং অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলসহ সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর লকডাউন, ফাইল ছবি

একই সঙ্গে শপিংমল, ও মার্কেটসহ সব ধরনের দোকান-পাট বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোও বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে সব ধরনের শিল্প ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান বা ওয়ালিমা, পার্টি, জন্মদিন, পিকনিক ইত্যাদি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা জারি করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ব্যাংক-বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপনে আরো জানিয়েছে, এ সময়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন সরকারি কর্মচারীগণ এবং দাপ্তরিক কাজসমূহ ভার্চুয়ালি তথা ই-নথি, ই-টেল্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যমে সম্পন্ন করবেন।