নিজস্ব ‘এরিয়া ৫১’ তৈরি করছে চীন!

অনেক বড়, দূরবর্তী ও রহস্যজনক জায়গা এটি। চীনের প্রত্যন্ত ও জনমানবহীন অঞ্চলে এর বিশাল রেডিওঅ্যাক্টিভ মরুভূমি রয়েছে। যেখানে ‘এরিয়া ৫১’র মতো জায়গা তৈরি করছে চীন। অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে। গোপনভাবে কোনো কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি অনেক পুরোনো খবর। ক্রুজ মিসাইল ও অনেক উপড়ে উড়তে পারে এমন গোয়েন্দা বিমানের বিষয়টিও তেমনি। ২০২০ সালের ‘ব্ল্যাক প্রজেক্টগুলোর মধ্যে ছিল, ড্রোন, কৃত্রিম গোয়েন্দা ও ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এরিয়া ৫১ এর অস্তিত্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শেষ হয়ে যায়। ২০১৩ সালের পর এর অফিসিয়ালি এর অস্তিত্ব না থাকলেও একে ড্রিমল্যান্ড, ওয়াটারটাউন, নেভাডা ট্রেইনিং রেঞ্জ ও গ্রুম লেক হিসিবে অভিহিত করা হতো। তবে প্রধানত একে ‘এরিয়া ৫১’ ই বলা হতো। অত্যন্ত দ্রুতগতির, উচ্চে উড়তে পারা ব্ল্যাকবার্ডের মতো এসআর -৭১ বিমানগুলো সেখানেই তৈরি। অন্যান্য অনেক অদ্ভুত এবং দুর্দান্ত ডিজাইনের ধারণাগুলোও সেখানে পরীক্ষা করা হতো।

এখন চীন অস্ত্র প্রতিযোগিতার ব্যবসায় নেমেছে এবং নিজস্ব এরিয়া ৫১ তৈরি করছে। এটি জিনজিয়াং প্রদেশের মরুভূমিতে অবস্থিত। তবে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট নজরদারির যুগে এর বিস্তৃত বিমান ঘাঁটিতে যা ঘটছে তা গোপন করাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। চীনের এরিয়া ৫১ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম স্থানে অবস্থিত। এতে পারমাণবিক পরীক্ষাগার ও ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের পরীক্ষা চালানোর সুযোগ রয়েছে।

মালান এয়ার বেজ, জিনজিয়াং

মালান এয়ার বেজ, জিনজিয়াং: মালান সামরিক বিমান ঘাঁটি জিনজিয়াংয়ের বোস্টুন হ্রদের কাছাকাছি অবস্থিত যেখানে উইঘুর এবং মঙ্গোল সম্প্রদায় রয়েছে। এটি লুপ নূর পারমাণবিক পরীক্ষাগারের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তার এটি তৈরি হয় এবং ৪৫টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

১৯৯৬ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিমান থেকে পরমাণু বোমা ফেলা, পরীক্ষামূলক ডিভাইস টাওয়ারগুলোতে বিস্ফোরণ, মিসাইল যুদ্ধক্ষেত্র, এবং বৃহদাকারের অস্ত্রগুলো মাটির নিচে বিস্ফোরণ ইত্যাদি পরীক্ষা চালানো হতো। স্যাটেলাইটে এই ঘাঁটির চিত্র ধরা পড়েছে।

লুপ নুর বিমান ঘাঁটি, জিনজিয়াং

লুপ নুর বিমান ঘাঁটি, জিনজিয়াং: লুপ নুরের মতো রহস্যজনক নয় মালান বিমান ঘাঁটি। এর বৈশিষ্ট্য হলো- এটি অনেক বিশাল। এটি খুব কমই ব্যবহৃত হয়েছে। তবে এর কিছু ভারী সম্প্রসারণ কাজ চলছে।

২০১৬ সালে এটি নির্মাণ করতে দেখা গেছে। বিশ্বাস করা হয়, এটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের প্রথম মানুষ্যবিহীন মহাকাশ বিমানের ল্যান্ডিং সাইট ছিল। ত্রিভুজাকৃতি ধরনের এর প্রতিটিতে তিনটি করে রানওয়ে রয়েছে যা বিশাল এবং ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর নির্মাণ কাজ এখনো চলছে।

সূত্র: নিউজ.কম.এউ