আফগানে কোনো পক্ষই যুদ্ধবিরতি চায় না

আফগান সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধি দলের যে সংলাপ হয়েছে, সেখানে সংঘাত থামানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দুই পক্ষ। সংলাপ শেষে যৌথ স্টেটমেন্ট ঘোষণায় যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ নেই। শান্তি ফেরাতে বার বার বৈঠক চলমান রাখার কথা বলা হয়েছে, তবে সাময়িক হলেও যুদ্ধবিরতি চায় না কোনো পক্ষ। খবর দ্য ডনের।

আফগান সরকারের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ সংলাপে ৭ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তাদের বক্তব্য, তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা এবং শান্তি ফেরাতে আফগান সরকার বদ্ধপরিকর। তবে সংলাপে দুই পক্ষ একটি বিষয়ে একমত হয়েছে যে, তারা তাদের অবস্থানের ব্যাপারে পরস্পরকে অবহিত করতে থাকবে।

যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানে শান্তি ফেরাতে দুই পক্ষ একটি অভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে চায়। উভয়পক্ষ জনগণের কল্যাণ, ক্ষয়ক্ষতি রোধ, হতাহত বন্ধ এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত। সংলাপে মধ্যস্থতা করার জন্য উভয় পক্ষ কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কাতারের আগ্রহকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে কোভিড নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য খাতকে উভয়পক্ষ সহায়তা করতে চায়, যাতে অক্সিজেন সংকটে প্রাণহানি না ঘটে।

তালেবানের পক্ষে সংলাপে নেতৃত্ব দেন গোষ্ঠীটির সহকারী প্রধান আবদুল ঘানি বারাদার। সরকারি প্রতিনিধি দলে ছিলেন- সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ করিম খলিলি, আতা মোহাম্মদ নূর, বাতুর দোস্তাম সালাম রাহিমি এবং সৈয়দ সাদাত মনসুর নাদেরি।

বৈঠকের শুরুতে কথা বলেন সরকারি পক্ষের আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আফগানিস্তান কঠিন দিনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ, সংঘাতের প্রধান শিকার হচ্ছে জনগণ। তিনি বলেন, আফগানের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সরকার অনেক মিটিং করেছে এতদিন। সেখানে একটাই বার্তা এসেছে- আফগানিস্তানের সমস্যার সমাধান কখনোই সামরিকভাবে আসতে পারে না। সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে হলে সেটা ফলপ্রসূ হবে। শান্তি ফেরাতে দুই পক্ষকেই উদার হতে হবে।

তালেবানের ডেপুটি লিডার আবদুল ঘানি বারাদার বলেন, আফগানিস্তানের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হলে একটি কেন্দ্রীয় স্বাধীন ইসলামিক পদ্ধতির সরকার প্রয়োজন এবং সেটা অর্জন করতে আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া বাদ দেওয়া উচিত।

আফগানে ঐক্যের কথা পুনরাবৃত্তি করে তালেবান প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, আফগানিস্তান সব আফগান জনগণের আবাসস্থল। আমরা যদি চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে চাই তাহলে আমাদের ছোটখাট বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে। আমাদের বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করতে হবে। জাতির ঐক্য গঠনে জোর দিতে হবে।