যুক্তরাজ্যে একদিনে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশে রেকর্ড

যুক্তরাজ্যে একদিনে ৪৩০ অবৈধ অভিবাসী ঢুকে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এক অভিযান শেষে ২০ জুলাই এ তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। বলা হচ্ছে, একদিনে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশে গত বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে এবার। ২০২০ সালে একদিনে সর্বোচ্চ ৪১৬ অভিবাসী দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যরা অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ রোধে নতুন আইন প্রণয়নের কথা ভাবছেন, যে আইনের মাধ্যমে মানব পাচারকারী, রাজনৈতিক আশ্রয় বিধি ও অবৈধদের জেল জরিমানা আরও কঠোর হবে। দ্য ডনের খবর।

যুক্তরাজ্যে একদিনে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশে রেকর্ড

গত বছর থেকে যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ বেড়েছে। সমুদ্রপথে ভাসমান নৌকায় বহুসংখ্যক অভিবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় এই অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না।

ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে ১৯ জুলাই ছোট ডিঙ্গি নৌকায় নারী-শিশুসহ ৫০ জন অবতরণ করে। অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতে নিয়োজিত কর্মকর্তা ড্যান ওমাহনি বলছেন, এ ধরনের প্রবেশ অগ্রহণযোগ্য এবং বিপদজনক। নিরাপদ প্রবেশে প্রথমে আশ্রয়ের আবেদন করা উচিত এবং এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রবেশ করা মোটেও উচিত না। আমরা খতিয়ে দেখছি মানবপাচারে কারা জড়িত।

গত বছর (২০২০) ইংল্যান্ডে ৮ হাজার ৫০০ মানুষ অবৈধভাবে ইংল্যান্ডে প্রবেশ করে। ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে তারা ব্যয়বহুল পথ অতিক্রম করে ইংল্যান্ড সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ পথটি জাহাজ চলাচলে খুবই ব্যস্ত থাকে।

তাছাড়া ছোট নৌকা চলাচলের একটি বড় রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এটি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিবাসীদের যাত্রা শুরু হয় ফ্রান্স থেকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ থামানোর জন্য ফ্রান্স-ইংল্যান্ড এখনও কোনো সঠিক উপায় নির্ধারণ করতে পারেনি। মানব পাচারকারীরা দু'দেশকে বোকা বানানোর তালেই রয়েছে।

ওমাহনি বলেন, পার্লামেন্টে সীমান্ত বিল পাসের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ রোধে, মানবপাচার ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে জীবনহানি কমবে এবং অবৈধ প্রবেশের হার হ্রাস পাবে। ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে ছয় থেকে চার বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আর পাচারকারীদের শাস্তি যাবজ্জীবন জেলদণ্ড। 'স্ট্যান্ড ফর অল' নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক ডানিয়েল সোহেজ টুইটারে লিখেছেন, লোকজন অবৈধভাবে ব্রিটেনে ঢুকছে, কারণ তাদের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই।