'চীনকে জব্দ' করতে লাদাখে আরো ১৫ হাজার ভারতীয় সেনা

লাদাখে চীনের সাথে ভারতের সংঘাত অনেক পুরোনো। মাঝে মধ্যেই তা বড় আকারে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে চীনের মোকাবেলায় ভারতকে বেশ কঠিন পরিস্থিতিতেই পড়তে হয়েছে।

টহলরত এক ভারতীয় সেনা

এ অবস্থায় ভারত সন্ত্রাস দমনে বিশেষভাবে দক্ষ ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে পূর্ব লাদাখে। বিশাল এ ইউনিটটি আগে ভারতের সংঘাতময় নর্দান কমান্ডের অধীনে জম্মুা-কাশ্মিরে মোতায়েন ছিল।

ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েক মাস ধরে এ মোতায়েন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ভারতীয়দের ভাষায়, চীনের আগ্রাসন বন্ধ করার জন্যই তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

লাদাখের পথে ভারতীয় সেনা কনভয়

নতুন যুক্ত হওয়া এই ইউনিটের সদস্যরা পাবর্ত্য কিংবা মরু এলাকায় সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধ পরিচালনায় দক্ষ বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই সেনা ইউনিটটি লাদাখে বেশ কিছুদিন অবস্থান করবে এবং সেখানে অবস্থানরত লেহ-ভিত্তিক ১৪ কর্পস হেডকোয়ার্টারকে সহযোগিতা করবে। একই সাথে সেখানে চীনের সাথে যুদ্ধ করার জন্য দায়বদ্ধ একমাত্র বিশেষায়িত ইউনিট ১৭ মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরকে আরো বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভারত-চীন সীমান্তে এই কোরের আরো ১০ হাজার সেনাকে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে লাদাখে ভারতের দুটি পূর্ণ ডিভিশন রয়েছে। সাথে রয়েছে সহযোগী আরো কিছু ইউনিট।

গত বছর লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখায় কয়েক দফায় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চীনা সেনাবাহিনীর হামলায় ভারতীয় বেশ কিছু সেনার প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন উত্তপ্ত ছিল। অবস্থা কিছুটা শান্ত হলে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসে। কিন্তু কোনো পক্ষই আলোচনার শর্তগুলো মেনে চলেনি। বরং উভয়েই সেখানে সেনা আরো বাড়িয়েছে। পাশাপাশি ভারত অভিযোগ করেছে, চীন লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ অবস্থায় উভয়েই বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মানার জন্য অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।

ভারত গত বছর লাদাখ সীমান্তে হামলার অভিযোগ এনে প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। এবার সেখানে নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে নতুন আরো ১৫ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলো ভারতের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ।