স্কুল খুলে দিচ্ছে আফগানিস্তান!

করোনা মহামারির কারণে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর স্কুলসহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে আফগানিস্তান সরকার। দেশটির স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেন, কোভিড-১৯-এর বিস্তারের বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রদেশে পর্যায়ক্রমে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান সরকার

আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হামিদ ওবাইদি বলেন, যেখানে করোনা পজিটিভ কেস ৩৫ শতাংশের নিচে আছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। আর এ জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনা হবে।

করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সংক্রমণ রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে গেলে গত মে মাসে হঠাৎ করেই দেশটির সকল বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর ফলে রাজধানী কাবুলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে যায়।

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুল

গত ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানে করোনা ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। তখন তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়ে ভারতে প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে শুরু করে।

আফগান সরকার এ বছরের মধ্যে দেশটির তিন কোটি ৮০ লোকের অন্তত ২০ শতাংশ লোককে এবং আগামী বছরের শেষ নাগাদ ৬০ শতাংশ লোককে টিকা আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে হঠাৎ করেই সংক্রমণ এবং তার জেরে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার পর ভ্যাকসিন কার্যক্রমে গতি আসে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন ৪০ হাজার লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তারা এ সংখ্যাটিকে দৈনিক এক লাখে উন্নীত করতে চান।

আফগান স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, সরকার আগামী বছরের প্রথম নাগাদ দেশে এক কোটি ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আনার পরিকল্পনা করছে।

আফগানিস্তানে রোববার (২৫ জুলাই) করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ৫২ জন মারা যায়। এ সময় সংক্রমিত হয় আরো ৪১৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ছয় হাজার ৪৭৭ জন মারা গেলো এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো এক লাখ ৪৪ হাজার ২৮৫ জনে।

এদিকে জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, আফগানিস্তানে ভ্যাকসিন প্রয়োগের রেট একেবারেই কম। এখন পর্যন্ত মাত্র চার শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।