গাজায় আবারও ইসরায়েলের বিমান হামলা

ফিলিস্তিনের হামাস অধিকৃত গাজায় আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে সেখানে হামাসের অস্ত্র উৎপাদন কারখানা রয়েছে। হামলায় গাজা সিটিতে একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি দখলদার সেনারা জানিয়েছে, হামাসের গ্যাস বেলুনের হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামাস হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

গত ২১ মে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু মূলত যুদ্ধ থেমে নেই। যুদ্ধবিরতির পরও নানা অভিযোগে ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের অভিযোগ, গাজা থেকে গ্যাস বেলুন ছুড়ছে হামাসের কর্মীরা। আর তাতে ইসরায়েলের ফসলের ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনিরা বলছে, উপকূল সীমান্তে ফিসিং জোন নিয়ে কড়াকড়ি জারি করেছে ইসরায়েল। তার প্রতিবাদ হিসেবে তারা গ্যাস বেলুন ছুড়ছে। ইসরােলি সেনাদের দাবি, এসব গ্যাস বেলুন হামলার প্রতিবাদেই হামাসের অস্ত্র কারখানা লক্ষ্য করে সোমবার বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহাম হামলার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এ হামলা মূলত লোক দেখানো। ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের অধিকার রক্ষায় প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েল উপকূলের ফিসিং জোনে কিছু এলাকা ব্লক করে দিয়েছে, যাতে ফিলিস্তিনিরা  প্রবেশ করতে না পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই উত্তেজনা। ফিলিস্তিনের ফিসিং জোন ১৫ নটিক্যাল মাইল থেকে কমিয়ে ৬ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা জানায়, ফিলিস্তিন থেকে আসা বেলুন বিস্ফোরণে সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যাচ্ছে। বেলুনগুলোতে মূলত আগ্নেয় ডিভাইস যুক্ত থাকে এবং বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এসব বেলুন হামলায় ইসরায়েলের কৃষি ক্ষেত ক্ষতগ্রিস্ত হচ্ছে বলে তাদের দাবি।

১২ জুলাই ইসরায়েল ঘোষণা দেয় ফিসিং জোন পুনরায় প্রসারিত করা হবে ও ফিলিস্তিনিদের নতুন করে পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু এই নতুন করে হামলা আবারও ওই ঘোষণা স্থগিত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।