ইসরায়েলকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা: হতভম্ব দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার জানিয়েছে, আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনে ইসরায়েলকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেয়ার ঘটনায় তারা হতবাক হয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্যদের সাথে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে অযৌক্তিক ও অযাচিত এ পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে।

আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তর

বিশ বছরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর গত শুক্রবার ইসরায়েল এইউ পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করে। এর আগে অবশ্য দেশটি অর্গানাইজেশন অব আফ্রিকান ইউনিটির (ওএইউ) পর্যবেক্ষক সদস্য ছিল।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, তেলআবিবের নতুন এই স্ট্যাটাস ইসরায়েল ও এইউকে আফ্রিকা মহাদেশে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং চরমপন্থী সন্ত্রাসের বিস্তার রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে  শক্তিশালী সহযোগিতা করতে সক্ষম করতে পারে।

গাজায় ইসরায়েলিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঘরবাড়ির ধবংসাবশেষ

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার জানায়, এইউ’র এ সিদ্ধান্ত আরো বেশি হতবাক করে দেয়ার মতো খবর। কারণ ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে প্রচুর মানুষকে হতাহত করে এবং ফিলিস্তিনিদের পবিত্র ভূমিতে তাদের অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখে।

দেশটি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, ইসরাায়েল যতক্ষণ পূর্বশর্ত ছাড়াই কোনো শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি না হয় ততক্ষণ পর্যবেক্ষকের মর্যাদা না পাওয়াই উচিত।

গত মে মাসে ইসরায়েল গাজায় টামা ১১ দিন হামলা চালায়। এ হামলায় ৬৬ শিশুসহ কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়।

উল্লেখ্য, বর্ণবাদের অভিযোগ অবসায়নের এক বছর পর ১৯৯৫ সালে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানায়। ২০১৯ সালে তেল আবিবের দূতাবাসকে একটি যোগাযোগ অফিসের মর্যাদায় নামিয়ে নিয়ে আসে।