এক জাতি দুই রাষ্ট্র স্লোগানের বাস্তবতা তুরস্ক-আজারবাইজান!

তুরস্ক ও আজারবাইজানের ব্যাপারে একটি বিখ্যাত বাক্য রয়েছে- এক জাতি, দুটি রাষ্ট্র। তুরস্ক পার্লামেন্টের স্পিকার বলেন, এ বাক্য কেবল একটি স্লোগান নয়, বরং বাস্তবতা। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহু বায়রামভের সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তুরস্ক পার্লামেন্টের স্পিকার মোস্তফা সেন্টুপ।

তুরস্ক পার্লামেন্টের স্পিকার মোস্তফা সেন্টুপ

মোস্তফা বলেন, দুই দেশের মধ্যে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হচ্ছে, কিছুদিন আগে নাগর্নো-কারাবাখকে নিয়ে আর্মেনিয়ার সাথে শুরু হওয়া সংঘাতে আজারবাইজানের পক্ষে সমর্থন দেয় তুরস্ক।

পরে মোস্তফা তুরস্কের ব্যবসায়ী ও এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মধ্য এশীয় তুর্কি প্রজাতন্ত্রের জন্য তুরস্ক ও আজারবাইজানদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তিনি বলেন, কোনো পাসপোর্ট ছাড়াই কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে দুটি দেশের মধ্যে ভ্রমণ এই এপ্রিলে শুরু হয়েছে। এখন মুক্ত বাণিজ্য সহজ করার জন্য আলোচনা চলছে।

তুরস্ক ও আজারবাইজানের মধ্যকার সম্মেলন

মোস্তফা সেন্টোপ এ সময় বলেন, সঘাতের জেরে বিপর্যস্ত কারাবাখ অঞ্চলের পুনর্গঠনের বিষয়টিও গুরুত্বের দাবিদার। এক্ষেত্রে তুরস্ক আরও বড় ভূমিকা নিতে চায়।

তিনি বলেন, ক্যাস্পিয়ান বেসিনে বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম তুরস্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুই দেশের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রতি অরো তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

নাগরনো-কারাবাখ দ্বন্দ্ব

প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে আসে ১৯৯১ সালে। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখকে দখল করে নিয়েছিল। এটি আরাবাইজানের অংশ হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

এ এলাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন করে সংঘাত শুরু হয় এবং ১০ নভেম্বর তা রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছিল। এর আগে ৪৪ দিনের লড়াইয়ে আজারবাইজান আর্মেনিয়ার প্রায় তিন দশক থেকে দখল করে রাখা বেশ কয়েকটি শহর এবং প্রায় ৩০০টি জনবসতি মুক্তি দেয়।