ইসরায়েলি ট্যাংকারে রহস্যময় হামলা, ব্রিটিশ ক্রুসহ নিহত ২

ইসরায়েলের মালিকানাধীন জোডিয়াক মেরিটাইম কোম্পানি পরিচালিত একটি পেট্রোলিয়াম পণ্যের ট্যাংকার অ্যারানিয়ান সাগরের ওমান উপকূলে রহস্যময় হামলার শিকার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) চালানো সে হামলায় ব্রিটিশ ক্রুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে ব্রিটিশ ক্রুসহ একজন রোমানীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন।

মারসের স্ট্রিট নামের ট্যাংকার

নিজেদের ওয়েবসাইটে লন্ডনভিত্তিক জোডিয়াক এ হামলা সম্পর্কে জানিয়েছে, মারসের স্ট্রিট নামের জাহাজটি আ্যারাবিয়ান সাগরে হামলার শিকার হয়েছে। লাইবেরীয় পতাকাবাহী জাহাজটির মালিক জাপানি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

প্রথমে সন্দেহ করা হচ্ছিল, এটি জলদস্যুদের হামলা। কিন্তু পরে যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানায়, এটি দস্যুতা সংশ্লিষ্ট কোনো ঘটনা নয়। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ইউকেএমটিওসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা হচ্ছে।

হামলার সময় ট্যাংকারটির অবস্থান

ইসরায়েলের ধনাঢ্য ওফার পরিবারের পারিবারিক কোম্পানি জোডিয়াক মেরিটাইম। তারা জানিয়েছে, ওই ব্রিটিশ ও রোমানীয় নাগরিক ছাড়া কেউ হতাহত হয়েছেন কি না; তা আমাদের জানা নেই।

ইউকেএমটিও বলছে, হামলার শিকার হওয়ার সময় জাহাজটি ওমানি বন্দর দুকাম থেকে ১৫২ নটিক্যাল মাইল উত্তরপূর্বে অবস্থান করছিল। তবে এটি কোনো কার্গো নাকি অন্য কোনো নৌযান, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। এছাড়া হামলার ধরন কিংবা অন্য ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী রেফিনিটিভ জানিয়েছে, মারসের স্ট্রিট একটি মাঝারি-আকারের ট্যাংকার। তানজানিয়ার দারুস সালাম থেকে এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। হামলার পর ঘটনাস্থলে মার্কিন নৌবাহিনী উপস্থিত হয়ে জাহাজটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসে।

এ হামলা নিয়ে ওমান কিংবা ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলার দায় স্বীকার করে এখন পর্যন্ত কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, হামলায় কথিত আত্মঘাতী-ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কোনো সরকার কিংবা মিলিশিয়া গোষ্ঠী এ হামলার নেপথ্যে রয়েছে। অন্যদিকে কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, জাহাজটিতে ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলা হয়েছে।