ইরানকে দোষারোপ, ‘কঠিন প্রতিশোধ’ নেবে ইসরায়েল!

ওমানের জলসীমায় ইসরায়েলি কোম্পানির তেলবাহী জাহাজে হামলায় দুই নাবিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় নিহত নাবিকদের একজন ব্রিটেনের এবং অপরজন রোমানিয়ার নাগরিক। হামলার পর ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিড

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড বলেন, হামলার পর তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। হামলার কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে তাকে জানানো হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার সময় জাহাজটি উত্তর ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছিল। জাহাজটিতে কোনো কার্গো ছিল না। জাহাজটির গন্তব্য ছিল তানজানিয়ার দারুস সালাম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজায়রাহ শহর।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভির মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস এক বিবৃতিতে জানায়, ওমান উপকূলের ১৫২ নটিক্যাল মাইল বা ২৮০ কিলোমিটার দূরত্বে একটি জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। এটা জলদস্যু সংক্রান্ত কোনো হামলা নয় বলে তারা জানায়।

মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞ ড্রাইয়াদ গ্লোবাল বলছেন, একবছর আগে ইরান-ইসারায়েল সংশ্লিষ্ট একটি হামলার ঘটনার সঙ্গে এই হামলার মিল রয়েছে। ওই সময় ইসরায়েলি জাহাজে হামলা করেছিল ইরান।

ইসরায়েল পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিড বলছেন, ইরানই যে শুধু ইসরায়েলের সমস্যা, তা নয়। কিন্তু ইরান সন্ত্রাসবাদ আমদানি করছে। তারা ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং আমাদের অস্থিতিশীল করে তুলছে।

খবরে বলা হয়, ওমানের জলসীমায় জাহাজে হামলাটি মূলত ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি মনোভাবের একটা প্রতিক্রিয়া। দেশ দু'টির মধ্যে একটা ছায়াযুদ্ধ লেগেই থাকে। উপসাগরীয় জলসীমায় দু'দেশই আধিপত্য ধরে রাখতে চায়।

ইসরায়েলি কোম্পানি জানিয়েছে, হামলায় নিহত ব্রিটিশ নাবিক জাহাজে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। যুক্তরাজ্যের একটি সিকিউরিটি ফার্মের মাধ্যমে তার নিয়োগ হয়েছিল।

ইরানের কূটনীতিবিষয়ক ও ইসরায়েলের আইডিসি হার্জলিয়া ইউনিভার্সিটির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞা মির জাভেদানফার বলছেন, হামলাটি সম্ভত ইরান করেছে। আক্রমণটি কিভাবে, কোথা থেকে চালানো হয়েছে তার কিছুই পরিষ্কার নয়।

তিনি বলেন, ইরানের অভ্যন্তরে যেকোনো হামলার ঘটনা ইসরায়েল করেছে বলে ধরে নেয় ইরান। ইসরায়েলের জাহাজটিতে যে এলাকায় হামলা হয়েছে তা ইরানের প্রতিশোধ পরায়ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এ ধরনের হামলা এই সমুদ্র পথে বাণিজ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।