হামাস: মার্কিন সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনকে উৎসাহিত করবে

নতুন অস্ত্র চুক্তির আওতায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। শনিবার (৩১ জুলাই) হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম এক বিবৃতির মাধ্যমে ওই সমালোচনা করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, জায়নিস্ট সত্তার (ইসরায়েল) সাথে এ ধরনের অস্ত্র চুক্তি করার মার্কিন সিদ্ধান্ত দখলদার তেল আবিবকে আমাদের জনগণ ও তাদের পবিত্রতার বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম

হাজেম কাসেম আরো বলেন, অস্ত্র, অর্থ ও রাজনৈতিক আবরণ দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের সহযোগী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের ঝুঁকি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপ ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে উৎসাহিত করে এবং এই অঞ্চলে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

গত শুক্রবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের সাথে ৩৪০ কোটি ডলারের চুক্তির অংশ হিসেবে তারা সিকোরস্কি সিএইচ-৫৩কে হেভি লিফট হেলিকপ্টার বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করেছে। এ সময় তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তায় মার্কিন প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করে আরো বলে, এর মাধ্যমে ইসরায়েল একটি শক্তিশালী আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবে।

গাজায় গত মে মাসে ইসরায়েলি হামলা

গত মে মাসে যখন তেল আবিব গাজার ওপর আক্রমণ চালাচ্ছিল, তখন ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে সাড়ে ৭৩ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন এই সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে বিরোধ তৈরি করেছিল।

এমনকি কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্য ইলহান ওমর একে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে অভিহত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই চুক্তি (অস্ত্র বিক্রি) যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে সেটি ইসরায়েলের এ ধরনের আগ্রাসন আরো চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত হিসেবে কাজ করবে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির যে কোনো প্রচেষ্টাকে আরো পিছিয়ে দেবে।

দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ পাড়ায় একটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার ইসরায়েলি আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে মে মাসের শুরুর দিকে গাজায় ১১ দিনের ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়। অপরদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলায় ১৩ জন ইসরাইলি নিহত হয়। পরে মিশরের মধ্যস্থতায় ২১ মে থেকে সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।