আকাশে উড়ার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে!
- Details
- by মাহফুজ সাদি
সুপারহিরোর মতো আকাশে উড়ার যে প্রযুক্তি রয়েছে, তাকে সংক্ষেপে ‘জেটপ্যাক’ বলা হয়ে থাকে। এই ধারণাটি গোটা বিশ্বে প্রথমবার জানতে আলোচনায় আসে জেমস বন্ড মুভি থান্ডারবলের সৌজন্যে, ১৯৬৫ সালে। সেই প্রযুক্তি এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ১৯৫০-এর দশকে ‘মানুষ রকেট’ হিসেবে এই প্রযুক্তি প্রথম তৈরি করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে ‘খুবই বিপজ্জনক’ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এটির ব্যবহার থেকে সরে আসে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর ৫৬ বছর পর এসে জেটপ্যাক প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে বিভিন্ন দেশে।
বর্তমানে নানা ধরন বিশেষ কাজে জেটপ্যাকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্ধারকর্মী পাঠানো এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে বেশ জোরেসোড়ে। সম্প্রতি বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে ব্রিটিশ রয়েল নৌবাহিনীর এক সদস্যের কর্মকাণ্ডে।
ওই মেরিন সেনার জেটপ্যাক ব্যবহারের পরীক্ষামূলক একটি নাটকীয় ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, হেলিকপ্টার থেকে দড়ির মাধ্যমে জাহাজে নামার বদলে জেটপ্যাক ব্যবহার করছেন তিনি। ওই ঘটনা অনেকের মধ্যে বেশ আলোড়ন তৈরি করে, সাড়া ফেলে দেয় এই প্রযুক্তি।
তবে বিনোদনের কাজে জেটপ্যাক ব্যবহার নিয়ে খুব একটা আলোচনা দেখা না গেলেও ভিন্নতা এনেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুটি প্রতিষ্ঠান। অর্থের বিনিময়ে যে কাউকে এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ দিচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রে জেটপ্যাক নিয়ে উড্ডয়নের সময় বড় একটি ফ্রেমের সঙ্গে সংযুক্ত রাখা হয়, যাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, জেটপ্যাক জনপ্রিয় হয়ে উঠার লক্ষণ দেখা গেলেও এই প্রযুক্তির সমস্যাগুলো কাটানো যাবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু দিক তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল এন্ড এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর বেনজামিন আকিহ। তিনি বলছেন, দমকলকর্মী, মেডিক্যাল ও উদ্ধারকর্মী বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহারের আগে বিনোদন অথবা ভ্রমণের কাজে ব্যবহার শুরু হবে জেটপ্যাক।
নিউ ইয়র্কের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আভান্ট গাইড ইনস্টিটিউটের ট্রেন্ড এক্সপার্ট ড্যানিয়েল লেভিন মনে করেন, বিনোদনের কাজে ব্যাপকভাবে জেটপ্যাক তৈরির সম্ভাবনা খুবই কম। তবে অর্থের বিনিময়ে এটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেয়াটা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে জেটপ্যাক ভাড়া করতে পারবেন কোনো কোনো দেশের রোমাঞ্চপ্রিয় বিত্তশালীরা। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠলে রোমাঞ্চকর যাত্রার বাহন হিসেবে এই প্রযুক্তি আকাশে উড়াটার ব্যাপারটা একটা জায়গা করে নেবে।
একই ধরনের কথা বলেছেন ‘ইনসাইড ট্রাভেল ল্যাব’ নামক ওয়েবসাইটের অ্যাবি কিং। তিনি বলেন, রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষের কাছে জেটপ্যাক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কারণ, উত্তেজনাকর নতুন কিছু করার আগ্রহ মানুষের সব সময় থাকবে। নিত্য নতুন রোমাঞ্চকর চ্যালেঞ্জের পেছনে ছুটছে মানুষ, তারা এটিকে সামনে এগিয়ে নেবে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.