পরীক্ষায় ফেল: তিন বছরে চার হাজার শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভারতে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় তিন বছরে চার হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান জানাতে গিয়ে ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো এ তথ্য দিয়েছে।

ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আত্মহত্যা বাড়ছে

সংস্থাটি আরো জানায়, ওই সময়ের মধ্যে সর্বমোট ২৪ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৩২৫। সংস্থাটি এ তথ্য দেশের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষকেও জানিয়েছে।

সংস্থাটি তাদের পরিসংখ্যানে আরো জানিয়েছে, বিভিন্ন কারণে প্রতিবছরই বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পরীক্ষায় ফেল করা, বিয়েসংক্রান্ত জটিলতা, অসুস্থতা, শারীরিক নির্যাতন, প্রণয়, প্রিয়জনের মৃত্যু, মাদকাসক্তি, অতিরিক্ত মদ্যপান, অসময়ে মাতৃত্ব ইত্যাদি।

ভারতে তিন বছরে ৪ হাজারের বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে

এসব কারণে ২০১৭ সালে ১৪-১৮ বছর বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আত্মহত্যার পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ২৯ জন। ২০১৮ সালে সে সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১৬৭-তে। ২০১৯ সালে সেটি আরো বাড়ে। সে বছর ৮ হাজার ৩৭৭ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আত্মহত্যা করে। ভারতের ২৯টি রাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপ্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তারপরের স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুও।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে আত্মহত্যার শ্রেণিবিভাগে জানিয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা হয়েছে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে। চার হাজার ৪৬ জন এ কারণেই আত্মহত্যা করে। এর পাশাপাশি বিয়েজনিত কারণে আত্মহত্যা করেছে ৬৩৯ জন, এর মধ্যে রয়েছে ৪১১ জনই মেয়ে। আত্মঘাতী অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তিন হাজার ৩১৫ জন আত্মহত্যা করেছে প্রণয়ঘটিত কারণে। এর বাইরে অতিরিক্ত অসুস্থতার জন্য আত্মঘাতী হয়েছে দুই হাজার ৫৬৭ জন। আর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েও আত্মহত্যা করেছে ৮১ জন ছেলেমেয়ে।

এ ছাড়াও ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যানে আত্মহত্যার জন্য উল্লেখ্যযোগ্য আরো যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো ছিল প্রিয়জনের মৃত্যু, মাদকাসক্তি ও অতিরিক্ত মদ্যপান, অসময়ে মাতৃত্ব ইত্যাদি।