দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ৪ যুদ্ধজাহাজ

এবার বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী মিত্র দেশসমূহকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে সেখানে ৪টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে ভারত। দেশটির নৌবাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ৪ যুদ্ধজাহাজ

ভারতীয় নৌবাহিনী বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ চীন সাগরে মিসাইল বিধ্বংসী প্রযুক্তি এবং ফ্রিগেট মিসাইল সমৃদ্ধ ৪টি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন, শান্তিপূর্ণভাবে বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের চলাচল এবং মিত্র দেশসমূহকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় এই যুদ্ধজাহাজগুলো আগামী দুই মাস দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দেবে বলেও জানানো হয়েছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোর সাধারণ স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক জলপথসমূহে জাহাজ পরিচালনার স্বাধীনতা বিষয়ক যে আলোচনা বর্তমানে চলছে, আমাদের নৌবাহিনীর সাম্প্রতিক এই মিশন সেটিকে আরো এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

দক্ষিণ চীন সাগরের উদ্দেশে পাঠানো জার্মানির ফ্রিগেট

ভারতীয় নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলমান মিশনের অংশ হিসেবে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজগুলো চলতি বছর প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম উপকূলে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে এর তীরবর্তী দেশগুলোর মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, এর বেশিরভাগ এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। সেই মালিকানা ধরে রাখতে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেখানে সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে। তবে ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো চীনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে এর বিরোধিতা করে আসছে।

চীনের বিরুদ্ধে এসব দেশের পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা চীনের বিরুদ্ধে এসব দেশকে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, চীনের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে মাঝে মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে নানা ধরনের অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সেখানে স্থায়ীভাবে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ব্রিটিশ সরকার।

এদিকে, জার্মানি একটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমার উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছে। বায়ার্ন ফ্রিগেট নামের যুদ্ধজাহাজটি গত সোমবার জার্মানি থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়। এতে ২০০ সেনা রয়েছে। জার্মানি ২০০২ সালের পর এই প্রথম গোলযোগপূর্ণ এই জলসীমায় কোনো যুদ্ধজাহাজ পাঠালো। এ বিষয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক ভাষণে বলেন, আমাদের বার্তা স্পষ্ট যে, আমরা আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে মিত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তবে এই বায়ার্ন ফ্রিগেটের মিশন কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।