আফগানিস্তানে হতাহত বেড়েছে ৮০ শতাংশ

আফগানিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন (এআইএইচআরসি) জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে আফগানিস্তানে ১ হাজার ৬৭৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং ৩ হাজার ৬৪৪ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এই সংখ্যা ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি।

আফগানিস্তানে হতাহত বেড়েছে

এআইএইচআরসি’র প্রতিবেদন অনুসারে, এই হত্যাকাণ্ডগুলো নিরাপত্তাজনিত ১ হাজার ৫৯৪টি ঘটনায় ঘটেছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো- ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসে মোট ২ হাজার ৯৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২১৩ জন নিহত এবং আহত হন ১ হাজার ৭৪৪ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালের প্রথম ৬ মাসে বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের সংখ্যা ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায়।

২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে মোট ৫০৪ জন নারী হতাহত হন। তার মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৫৪ জন ও আহত হন ৩৫০ জন। ঠিক এক বছর আগে ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসে মোট ২৯৭ জন নারী হতাহত হন। এর মধ্যে ১২৬ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হন।

এআইএইচআরসি’র সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, ২০২১ সালের প্রথম ৬ মাসে আফগানিস্তানে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় মোট হতাহতের মধ্যে তালেবান ৫৬ শতাংশ দায়ী। এ ছাড়া সরকারি বাহিনী ১৫ শতাংশ, দায়েশ ৭ শতাংশ এবং অজ্ঞাত অপরাধীরা ২২ শতাংশ দায়ী।

চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে তালেবানের কারণে ২ হাজার ৯৭৮ জন হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯১৭ জন নিহত ও ২ হাজার ৬১ জন আহত হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানদের যুদ্ধ কৌশলগুলোর মধ্যে ছিল আইইডি, রকেট ফায়ার, টার্গেট কিলিং এবং স্থল যুদ্ধ।

আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এই বছরের প্রথম ৬ মাসে তালেবানের হাতে দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছেন। ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসে তালেবানের কারণে ১ হাজার ৪৩৮ জন বেসামরিক মানুষ হতাহতের শিকার হয়। এর মধ্যে ৫৪২ জন নিহত ও ৮৯৬ জন আহত হন।

অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হামালায় এই বছরের প্রথম ৬ মাসে ১ হাজার ১৯০ জন বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪২৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৭৬৫ জন। এসব হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি স্বীকার করেনি। 

সূত্র: এএনআই