১২টা বাজে না যে ঘড়িতে!
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অনেকে প্রায়ই বলে ফেলেন, একেবারে বারোটা বেজে গেল। কথাটা দু অর্থে হতে পারে। অবস্থা শোচনীয় হয়ে গেলে কিংবা ঘড়িতে সময় যখন বারোটা তখন। সুইজারল্যান্ডে এমন একটি শহর আছে যেখানে প্রথমটি সম্ভব হলেও দ্বিতীয়টি সম্ভব নয়। কারণ সেখানে এমন একটা ঘড়ি আছে যাতে ঘণ্টার কাটা ১১ টাতে পৌঁছার পর আবার একের ঘরে চলে যায়, অর্থাৎ বারোটা বাজার কোনো সুযোগই নেই। অবশ্য সেটা কেবল ওই একটি ঘড়িতে।
সোলোথার্নের অদ্ভুত ঘড়ি
সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে রয়েছে এ অদ্ভুত ঘড়িটি। শহরটিতে ঘুরতে এসে পর্যটকরা কিছু সময়ের জন্য থমকে যান শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কোয়্যারের সামনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। সেই ঘড়িতে সর্বসাকুল্যে আছে ১১টি সংখ্যা। ফলে কখনো ১২টা বাজে না এই ঘড়িতে।
জানা গেছে, এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটার সম্পর্ক একটু বেশিই নিবিড়। শহরের অনেককিছুর সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। যেমন এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝরনাসহ আরো অনেক এগারোর মেলা।
সোলোথার্নের আকর্ষণের প্রচুর পর্যটক যায় সেখানে
২০০০ বছর আগে রোমানদের হাতে পত্তন হয়েছিল এই শহরের। যদিও তখন এতটা জনপ্রিয় ছিল না ওই শহর। তবে সময় পার হওয়ার সাথে সাথে এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। ১২১৫ সালে যখন সোলোথার্নে কাউন্সিলর নির্বাচনে হয়, তখন ১১ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৪৮১ সালে সুইস কনফেডারেশনের ১১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয় সোলোথার্ন। ওই সময় ১১ জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল।
এরপর ১৫ শতকের গোড়ার দিকে শহরে সেন্ট আরসুস গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানলা, ১১টি রো ও ১১টি ঘণ্টা। ওই গির্জা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ১১ রকমের পাথর। এরই ধারাবাহিকতায় কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল ঘড়িটি।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর