এখনই দেশে ফিরবেন না নওয়াজ

পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত নওয়াজ শরীফ যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করবেন। ভিসা বাড়ানোর বিষয়ে ব্রিটিশ অভিবাসন ট্রাইব্যুনাল কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত তিনি বৈধভাবেই সেখানে থাকতে পারবেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নওয়াজের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

লন্ডনে নওয়াজ শরীফ, ফাইল ছবি

৭১ বছর বয়সী পাকিস্তান মুসলিম লিগের সভাপতি (পিএমএল-এন) এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দুটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। চার মাস বিদেশে থাকার অনুমতি দেয়া হলেও সেই থেকে এখন পর্যন্ত নওয়াজ শরীফ লন্ডনেই আছেন। সম্প্রতি তার ভিসা মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে সেখানকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখ্যান করে।

গত শুক্রবার জারি করা এক বিবৃতিতে পিএমএল-এনের সভাপতি এবং পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ খান বলেন, সরকারের নিজস্ব মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নওয়াজ শরীফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাকিস্তান ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করা অমানবিক। সরকার নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাইছে। এতে মূলত দেশেরই বদনাম হচ্ছে।

শাহবাজ তার বড় ভাই নওয়াজ শরীফের দেশে ফেরার বিষয়ে বলেন, যখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ হবেন এবং লন্ডনের ডাক্তাররা ভ্রমণের অনুমতি দেবেন, তখনই কেবল তিনি পাকিস্তান ফিরবেন। তিনি এখন বৈধভাবেই যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

পিএমএল-এনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, সাম্প্রতিক এই ভিসা ইস্যুটি প্রমাণ করলো, তার বাবা কিভাবে ইমরান খানের সরকারের স্নায়ুতে মিশে গিয়েছিলেন। নওয়াজ শরীফই পাকিস্তানের বর্তমান এবং ভবিষ্যত।

পিএমএল-এনের তথ্য সচিব মরিয়ম আওরঙ্গজেব সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানে সরকারের হেফাজতে থাকাবস্থায় নওয়াজ শরিফের স্বাস্থ্যের চরম অবনতি হয়েছিল। সে সময় মেডিক্যাল রিপোর্ট ও ট্রাইবুনাল জানিয়েছিল, পাকিস্তানে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। পরে প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকার নওয়াজ শরীফকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়।

দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতে অভিবাসন ট্রাইব্যুনালে মামলার স্তূপ জমে আছে। এ অবস্থায় নওয়াজ শরীফের মামলার রায় পেতে এক বছর বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।