অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব, অকল্পনীয়, অনুনমেয়, অতুলনীয় কিং অচিন্তনীয়। আজ অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশ যা করল সেটার বিশেষণ হতে পারে এমন অনেক শব্দই। বিস্ময়করভাবে অজিদের ৬২ রানে গুটিয়ে দিল টাইগাররা। বাংলাদেশ জিতল ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে শেষ করল স্বাগতিক শিবির।

bangladesh players celebrate their series win bangladesh vs australia 5th t20i

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেটে ১২২ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ৬২ রানে অলআউট করেছে টাইগাররা। তাও আবার ম্যাচের ৩৮ বল বাকি থাকতেই! টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ। শুধু তাই নয়, এই সংস্করণে এটাই তাদের সবচেয়ে দ্রুততম অলআউট হওয়ার রেকর্ড।

আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে অজিদের এমন হাল করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। আগের ম্যাচের খলনায়ক সাকিব আল হাসান রূপকথার প্রত্যার্তন করলেন এদিন। ২২ বলে মেডেনসহ নয় রানে চার উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ধসিয়ে দিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার। অবধারিতভাবেই তিনি হলেন ম্যাচ সেরা।

nasum ahmed and others bangladesh vs australia 5th t20i dhaka

বরাবরের মতো এই ম্যাচটাও হলো লো স্কোরিং। তবে দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশ থেমে গেছে অল্পতে। কিন্তু সিরিজের প্রেক্ষাপট ও উইকেট বিবেচনায় এই অল্পটাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য হয়ে গেল পাহাড়সম। সেই রানেই চাপা পড়ল অজিরা। সাকিব-নাসুম-সাইফুদ্দিনের তোপে অস্ট্রেলিয়ানদের নয়জন যেতে পারলেন না দুই অংকে। তাদের রান সংখ্যা যেন মুঠোফোনের ডিজিট!

সর্বোচ্চ ২২ বলে ২২ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার, অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। তিনি ছাড়া দশকের ঘরে যেতে পেরেছেন কেবল বেন ম্যাকডেরমট। ১৬ বলে ১৭ রানে ফিরেছেন তিনি। এই দুজন ফেরার পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন। শেষ ১৪ রানে সাত উইকেট খুইয়ে অবিশ্বাস্যভাবে অলআউট হয়ে যায় অজিরা।

সাকিব গুঁড়িয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডার। দুই উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার এলোমেলো করেছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। অজিদের বাকি সর্বনাশটা করেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তিন ওভারে ১২ রানে তিন উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যাকে নিয়ে অজিদের সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল সেই মুস্তাফিজুর রহমান আজ থাকলেন উইকেট শূন্য!

বোলিং করলেন মোটে এক ওভার। রান দিয়েছেন তিন। আসলে ডেথ ওভারের জন্যই মুস্তাফিজকে শুরুর দিকটায় ব্যবহার করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ওই পর্যন্ত যেতেই হলো না। বিস্ময়করভাবে ম্যাচে ১৩.৪ ওভারেই সফরকারীদের গুটিয়ে দিয়েছেন সাকিবরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে এটাই প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে কম সময় ও রানে গুটিয়ে দেওয়ার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

অথচ এই সিরিজের আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কখনো অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই সিরিজেই দুবার সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছে টাইগাররা। শেষ ম্যাচে তো অস্ট্রেলিয়ানদের সম্ভ্রম কেড়ে নিলেন স্বাগতিক বোলাররা। তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নতুন করে আরেকটা রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানের পুঁজি নতুন করে আগলে রাখল টাইগাররা।

অস্ট্রেলিয়ার ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে আড়াল হয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস। যেখানে উড়ন্ত সূচনা করেছিল টাইগাররা। শুরুর তিন ওভারে বিনা উইকেটে দলীয় সংগ্রহ ত্রিশ ছাড়ায় স্বাগতিকরা। পঞ্চম ওভারে ৪২ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই কমে আসে বাংলাদেশের রানের চাকার গতি। তবে টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন উইকেটে থিতু হওয়ার পর। তন্মধ্যে প্রথম পাঁচজন ছুঁয়েছেন দুই অংক।

সর্বোচ্চ ২৩ বলে ২৩ রান এসেছে নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। ক্রিকেটের প্রায় দেড় শ বছরের ইতিহাসে এক ম্যাচে এত কম রান কোনো ম্যাচের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ হলো। এ ছাড়া মেহেদি হাসান ১২ বলে ১৩, সাকিব ২০ বলে ১১, সৌম্য সরকার ১৮ বলে ১৬, মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ১৯, আফিফ ১১ বলে ১০ এবং নুরুল হাসান ১৩ বলে আট রানে আউট হন। বিস্ময়কর হচ্ছে অতিরিক্ত ১৮ রান দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশের পতন হওয়া উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ও নাথান এলিস। একটি করে শিকার অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাডাম জাম্পার। বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে লক্ষ্যমাত্রা নাগালেই রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু টাইগারদের আগুনঝরা বোলিংয়ে জয় তো দূরের কথা, বড় ধরনের লজ্জায় পড়তে হলো অজিদের। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এরচেয়ে ব্রিবতকর হার আর নেই তাদের।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.