নেইমার: আবার আমরা এক সঙ্গে

লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের পুনর্মিলনী। কিন্তু সেটা কোথায়? সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে বার্সেলোনায় দুই বন্ধুর মিলনের গুজব রটেছে প্রচারমাধ্যমে। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের ন্যু ক্যাম্পে ফেরার গুঞ্জন ছিল। নেইমারও ফিরতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত স্প্যানিশ ফুটবলে প্রত্যাবর্তন হয়নি তার। নেইমার থেকে যান প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। করেন চুক্তি নবায়ন।

লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের পুনর্মিলনী

তাতেও দুই বন্ধুর মিলন আটকায়নি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বরং মেসি নিজেই চলে গেলেন বন্ধুর কাছে। আজ আর্জেন্টিনা অধিনায়কের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে প্যারিসিয়ানরা। চাইলে এক বছর বাড়ানো যাবে। মেসি পিএসজিতে যোগ দেওয়ায় সম্ভবত সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন নেইমার। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন তিনি। প্যারিসে বন্ধুকে স্বাগত জানিয়েছেন।

আজ ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, ‘আবার আমরা এক সঙ্গে।’ নেইমারের ছোট্ট এই বাক্যের গভীরতা অনেক। যা ফুটবলপ্রেমীদের বুঝতে বেগ পেতে হয় না। আজ নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলার একটি ছবি স্টোরিতে দিয়েছেন পিএসজি স্ট্রাইকার। সেখানেই ক্যাপশনে মেসিকে স্বাগত জানিয়েছেন নেইমার।

২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন। ন্যু ক্যাম্পে চার বছরের অধ্যায়ে মেসির সঙ্গে তার রসায়ন জমে ওঠে দারুণভাবে। এই জুটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। মাঠের বাইরেও তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে রূপান্তর হন। চার বছরে দুই বন্ধু মিলে বার্সাকে উপহার দিয়েছেন বেশ কয়েকটি শিরোপা।

এই যুগলের সঙ্গে বার্সার আক্রমণভাগে ছিলেন আরো একজন। তিনি লুইস সুয়ারেজ। গত মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে নাম লেখান উরুগুয়েন স্ট্রাইকার। তার দারুণ পারফম্যান্সে লা লিগা জেতে মাদ্রিদের ক্লাবটি। তবে তিনজন তিন ঠিকানায় থাকলেও তাদের বন্ধুত্বে ন্যূনতম চিড় ধরেনি। এই তো কদিন আগেও ছুটি কাটাতে প্যারিসে এসেছিলেন মেসি। সেখানে নেইমাররে সঙ্গে দেখা যায় তাকে।

গেল ৩০ জুন বার্সার সঙ্গে মেসির সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। শেষ হয় ২১ বছরের মধুচন্দ্রিমা। মেসি অবশ্য থেকে যেতে সবরকম ছাড় দিয়েছেন। নতুন চুক্তিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি বার্সেলোনাও। কিন্তু স্প্যানিশ ফুটবলের আর্থিক জটিলতায় আটকে যায় চুক্তি। শেষ হয়ে যায় ন্যু ক্যাম্পে মেসির ভবিষ্যৎ। স্বাভাবিকভাবেই বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেসি।

প্রিয় আঙিনা ছাড়ার যে শোক তা হয়তো নতুন ঠিকানায় পুরনো বন্ধুকে পেয়ে কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠবেন মেসি। বার্সায় মেসি-নেইমার হয়ে উঠেছিলেন ভয়ঙ্কর। এবার পিএসজির জার্সিতে এই জুটির জাদু দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।