উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে সিআইএ প্রধান

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার ইসরায়েল সফর করলেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস। আগামী মাসে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ওয়াশিংটন-তেহরান পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তির ব্যাপারে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিক এই সময় সিআইএ প্রধানের ইসরায়েল সফর অন্যরকম গুরুত্ব বহন করছে।

সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওয়াশিংটন-তেহরান পারমাণবিক সংলাপের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে। তারা জানায়, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সরকার সংলাপের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন।

এর আগে ২৯ জুলাই ওমান জলসীমায় ইসরায়েলি তেল ট্যাঙ্কারে রকেট হামলার ঘটনা ইসরায়েল-ইরানের বিরোধিতায় ঘি ঢেলে দেয়। দু'দেশের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, যে কোনো সময় ইরানে বিমান হামলা করতে প্রস্তুত তারা।

ওই জাহাজে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য-ইরান পাল্টাপাল্টি দূত তলব করে।

সিআইএ প্রধানের সফরের এজেন্ডা বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের কার্যালয়। তবে স্থানীয় ওয়ালা নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইরান-ইসরায়েল পরিস্থতির দিকে নজর দেবেন সিআইএ প্রধান।

এছাড়া ইরান কেন্দ্রিক এ অঞ্চলের পরিস্থিতি বুঝবার চেষ্টাও করবেন তিনি। সিআইএ প্রধান একই সাথে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্ণিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এছাড়া ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস ইসরায়েলি দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহর সফর করবেন। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সিআইএ প্রধান ২০১৫ সাল থেকে ওয়াশিংটন-তেহরান সম্পর্ক উন্নয়নে কূটনীতিক ভূমিকা পালন করে আসছেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তিতে বার্নসের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা ছিল। ইরান ও চুক্তিতে অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেছিলেন।

ইসরায়েলকে শক্তভাবে সমর্থন করে ২০১৮ সালে ইরানের সাথে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেডিসেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় বসার পরই ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দেন।

ইরান পারমাণবিক চুক্তি বহাল করে ইতোমধ্যে ভিয়েনায় কয়েক দফা আলোচনাও বসেছে ওয়াশিংটন-তেহরান। সব মিলিয়ে সিআইএ প্রধানের ইসরায়েল সফর খবুই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।