মহাকাশে পিৎজা-আপেল-টমেটো নিয়ে গেল নভোযান

বর্তমানে মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৭ জন নভোচারী। তাদের জন্য নরথ্রপ গ্রাম্যানের একটি কার্গো যান পাঠানো হয়েছে, যাতে রয়েছে পিৎজা ও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য। পূর্ব ভার্জিনিয়া থেকে এই কোম্পানির বিশেষ মহাকাশযান সিগনাস কার্গো শিপটি মঙ্গলবার ছেড়ে গেছে। এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছবে বৃহস্পতিবার।

নাসার ওয়ালোপ ফ্লাইট ফ্যাসিলিটি থেকে নরথ্রপ গ্রাম্যানের কোম্পানির ছোড়া রকেট

মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বুধবার বলা হয়েছে, মহাকাশ কেন্দ্রে থাকা ৭ জন নভোচারীর জন্য ৮ হাজার ২০০ পাউন্ড বা ৩ হাজার ৭০০ কিলোগ্রাম ওজনের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে রকেটটি রওনা হয়েছে। অন্যান্য জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে আপেল, টমেটো, কিউই, চিজ স্মরগাসবোর্ড ইত্যাদি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রকেটিটিতে আরো যেসব জিনিস রয়েছে তার মধ্যে মহাকাশ কেন্দ্রের ল্যাবের জাহাজের নতুন সোলার উইংয়ের জন্য একটি মাউন্টিং ব্রাকেট এবং আরো কিছু যন্ত্রপাতি রয়েছে। যার মাধ্যমে মহাকাশ কেন্দ্রে থ্রিডি প্রিন্টারে চাঁদের ধূলিকণা ও ক্ষুদ্র বস্তুকণা দিয়ে আগামী বছর জিনিসপত্র তৈরির চেষ্টা করা হবে।

গত এপ্রিলে মহাকাশে যাওয়া ৪ নভোচারীকে স্বাগত জানাচ্ছেন আগে থেকে অবস্থান করা ৩ নভোচারী, ছবি-আলজাজিরা

নাসার জন্য মহাকাশে এ নিয়ে এটি নরথ্রপ গ্রাম্যানের ১৬তম যান এবং সর্ববৃহৎ সরবরাহ। নাসার ওয়ালোপ ফ্লাইট ফ্যাসিলিটি থেকে কোম্পানির রকেটে ক্যাপসুলটি ছাড়া হয়। ১৯৮৬ সালে চ্যালেঞ্জার উৎক্ষেপণের সময় দুর্ঘটনায় মারা যান মহাকাশে যাওয়া প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান। তার নামেই ক্যাপসুলের নাম দেওয়া হয় ‘হাওয়াই ওনিজুকা’।

ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ পর নাসার অন্য একটি যান স্পেসএক্স মহাকাশের উদ্দেশে ছাড়া হবে। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যে ৭ জন নভোচারী অবস্থান করছেন, তাদের মধ্যে ৩ জন আমেরিকান, ২ জন রাশিয়ান এবং একজন করে ফরাসি ও জাপানি।