ন্যাটো: তালেবান আন্তর্জাতিক সমর্থন পাবে না

আফগান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শুক্রবার বৈঠক করেছে সামরিক জোট ন্যাটো। জোটটির রাজনৈতিক শাখা নর্থ আটলান্টিক কাউন্সিলের মিত্ররা এ বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠক শেষে জানানো হয় তালেবানের বিরুদ্ধে তারা আফগান সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি বেসামরিক লোকদের ওপর তালেবানের হামলার সমালোচনাও করা হয়। এও বলা হয়, জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করলে তালেবান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পাবে না। টলো নিউজ।

ন্যাটো

এক বিবৃতিতে ন্যাটো জানায়, আমরা আফগানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং আফগান কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য আফগান সরকার ও সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করা। কাবুলে আমাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি থাকবে এবং আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’

বিবৃতিতে তালেবানের অগ্রগতি এবং বেসামরিক লোকদের ওপর আক্রমণ, পরিকল্পিত হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ন্যাটোর বক্তব্য, তালেবানের বোঝা উচিত জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করলে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পাবে না। আফগানে আমরা রাজনৈতিক সমঝোতা চাই। ন্যাটোর বিবৃতি এমন সময় এলো যখন তালেবান নিমরোজ, ফারাহ, ঘোর, বাগদিস, হেরাত এবং গজনিসহ ১৮টির বেশি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা রয়েছে। বাইডেন এখনও তার এই সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। গত ১০ আগস্ট তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনুশোচনায় ভুগছেন না।

বাইডেনের বক্তব্য, আফগানের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এবং হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হারিয়েছে। তবে আফগান সরকারি বাহিনীকে বিমান হামলা, খাদ্য ও অস্ত্র-সরঞ্জামের সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গত জুনে যখন তালেবান একের পর এক এলাকা দখল করছিল, তখন বাইডেন ভিয়েতনামের সায়গন পরিস্থিতির ব্যাপারটা তুলেছিলেন তার বক্তব্যে। তবে তার বক্তব্য ছিল সায়গনের মতো আফগানে আমাদের অবস্থা বিপর্যয়মূলক হবে না।

একইরকম মত প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলি। তিনি সায়গনের মতো অবমাননাকর প্রস্থানের সঙ্গে কাবুলকে তুলনা করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন।

জানা যাচ্ছে, কাবুল থেকে মার্কিন দূতাবাস খালি করার সময় কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকবে তিন হাজার মার্কিন সেনা। প্রযুুক্তিগত ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য কাতারে থাকবে এক হাজার সেনা এবং প্রয়োজন হলে কুয়েতে আরও তিন থেকে চার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে।