তিউনিসিয়ায় কার্যকর গণতন্ত্র চায় যুক্তরাষ্ট্র

তিউনিসিয়ায় একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদকে তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেশষ্টা জনাথন ফিনার কাইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাইস সাঈদকে দ্রুত সরকার গঠন করে একজন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জনাথন ফিনার তিউনিসিয়ার সিভিল সোসাইটির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সেখানে ফিনার বলেন, দেশটিতে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

শুক্রবারের ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট কাইসের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি বার্তাও তুলে ধরেন জনাথন ফিনার। সেটি হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাচ্ছেন তিউনিসিয়ায় একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে আসুক। তিউনিসিয়ার জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বৈঠকে জনাথন জানান, জনমতামতের ভিত্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য কাউকে বসাতে হবে, যে সরকার দ্রুত অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। একটি নতুন সরকার গড়ার মাধ্যমেই কেবল নতুন প্রস্তাবিত সাংবিধানিক ও নির্বাচনী সংস্কার আনা সম্ভব হবে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

ধারাবাহিক সংস্কারের অংশ হিসেবে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সংসদ ভেঙ্গে দেন। এতে নিম্নকক্ষের ২১৭ এমপি তাদের সংসদীয় ক্ষমতায় হারান। সমালোচক এবং বিরোধীদলের পক্ষ থেকে কাইস সাঈদের এই পদক্ষেপকে একটি বিনা রক্তপাতের অভ্যুত্থান হিসেবে ধরা হয়। তারা প্রেডিন্টের পদক্ষেপকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

দেশটির প্রধান বিরোধীদল এন্নাহদার পক্ষ থেকে কাইস সাঈদের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। নেতাকর্মীরা কাইস সাঈদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরবর্তীতে দলটির নেতা ও তিউনিসিয়া পার্লামেন্টের স্পিকার রাজপথ থেকে নেতাকর্মীদের সরে আসতে নির্দেশ দেন।

গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও কাইস সাঈদকে সরকার ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পন্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। পরে ফেসবুকে তিউনিসিয়ার প্রেসেডিন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়, কাইস সাঈদ মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট কাইস যে পদক্ষেপ নিছে তা সাংবিধানিক ও গঠনতান্ত্রিক সংস্কার।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সংকট ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল দেশ। প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপ এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। মূলত দীর্ঘদিনের একটি দাবির প্রতি সাড়া দিয়েই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।