আফগানিস্তান হবে ‘ইসলামিক এমিরেট অব অফগানিস্তান’

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দ্বারপ্রান্তে তালেবান। ইতোমধ্যে তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যালেসের দখল নেওয়ার দাবি করেছে। একই সঙ্গে সরাসরি পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি তুলেছে তারা। ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর আফগানিস্তানকে তারা ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে।

আফগান প্রেসিডেন্টশিয়াল প্যালেসে তালেবান নেতারা, ছবি-আলজাজিরা

তালেবানের বরাত দিয়ে বিবিসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পরই প্রেসিডেন্ট প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। তবে আফগান সরকারের কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেননি।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নেওয়ার পরই তালেবানের এক মুখপাত্র টুইটারে জানান যে, আফগানিস্তানকে তারা ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। তাদের সরকার ব্যবস্থায় শুধু তালেবান নয়, বরং আফগানিস্তানের সব ধরনের মানুষ থাকবেন।

বিবিসি বলছে, তালেবান প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখলের দাবি করলেও সেখানে আসলে এখন কী পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এমনকি এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরাও কিছু বলতে পারছেন না।

তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, শুরুতে কাবুলে প্রবেশ না করতে যোদ্ধাদের নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করেছে তালেবান। অর্থাৎ তালেবান নেতৃত্ব কাবুল গেটের বাইরে অপেক্ষমাণ তাদের যোদ্ধাদের শহরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। একই সঙ্গে আফগান রাজধানীতে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে অন্তত ৪০ জনের আহতের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে যে, কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা চলবে না, বরং আফগানিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরাসরি তাদের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। তালেবানের দুই সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, গোটা আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর আর কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলবে না।

অন্যদিকে, আশরাফ ঘানি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেও তিনি কোন দেশে গেছেন তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। যদিও কোনো কোনো রিপোর্টে তার তাজিকিস্তান যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ঘানি তাজিকিস্তান চলে গেছেন। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের অন্য কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। অবশ্য কাবুলে অবস্থান নেওয়া তালেবান যোদ্ধাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে ঘানির অবস্থান যাচাই করা হচ্ছে।