আফগানিস্তানে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাল ইরান

প্রতিবেশী আফগানিস্তানে রাজনৈতিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারকির জন্য সমন্বয় পরিষদ গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান। বিস্ময়কর অগ্রগতির মাধ্যমে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে রাজধানী কাবুলসহ দেশের অধিকাংশ প্রদেশ দখল করে নিয়েছে তালেবান। এখন ক্ষমতা হস্তান্তরের পালা। এ লক্ষ্যে সমন্বয় পরিষদ গঠনের ঘোষণা আসে। আনাদোলু এজেন্সি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, ফাইল ছবি

তেহরানের বিদায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ রোববার এক টুইটারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ পরিষদ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সকল পক্ষকে সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সহিংসতা ও যুদ্ধের মাধ্যমে কখনো সমস্যার সমাধান হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইরান সবসময় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।

আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছাড়ার পর ক্ষমতার সুষ্ঠু হস্তান্তর নিশ্চিত করতে একটি সমন্বয় পরিষদ গঠন করার ঘোষণা দেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তার এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

কাবুল কব্জা করার পর এক তালেবান সদস্য

হামিদ কারজাই বলেন, বিশৃঙ্খলা রোধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পর্কিত বিষয়গুলো পরিচালনা করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কারজাই ছাড়াও আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে আছেন। সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি কাবুলের তালেবান যোদ্ধাদের সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে এ কাউন্সিল।

আফগানিস্তানের সাথে ৯২১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে ইরানের। দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি নিজ দেশের কূটনীতিকদের নিরাপদ থাকার ওপর জোর দিয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরান রোববারই তাদের বেশ কিছু কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দূতাবাসের বাইরে মাজার-ই-শরিফ, জালালাবাদ ও কান্দাহারে পাঁচটি মিশন রয়েছে ইরানের।

আফগান সরকার এবং তালেবান উভয়ের সাথেই যোগাযোগ রক্ষা করেছে ইরান। বরাবরই দেশটি কাবুলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।