সব সরকারি কর্মকর্তা পলাতক!

আফগানিস্তানের পুরোটা তালেবানের দখলে যাওয়ার পর কাবুলে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর পাওয়া গেছে। আফগানিস্তান ইসলামিক এমিরেটসের (এআইই) সদস্যরা (তালেবান) পুরো কাবুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং কাবুলের বাসিন্দারা তা দেখতে রাস্তায় নেমে এসেছে। কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের প্রথম সকালের দৃশ্য ছিল এমন।

তালেবান

আফগানিস্তানের খামা নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে, তালেবান রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সরকারি স্থাপনা দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে। তালেবান নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা বাহিনী ভবনগুলো খালি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

তালেবান কর্তৃক কাবুল দখলের আকস্মিকতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়েছিল তা এখনও খোলেনি। সড়কের পাশের দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। হাজার মানুষ হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছে দেশ ত্যাগের উদ্দেশে। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং বিমানবন্দরে ভিড় কমাতে বলা হয়েছে।

তালেবান

তালেবান যোদ্ধারা রেঞ্জারস, হামভি, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবানহনে চড়ে গোটা কাবুল টহল দিচ্ছে এবং কিছু মোড়ে তারা ট্রাফিকও নিয়ন্ত্রণ করছে।

প্রথম সকালে কাবুলের যুবকরা ঘর থেকে দলে দলে রাস্তায় বেরিয়ে আসে তালেবান যোদ্ধাদের দেখতে এবং তাদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়।

তালেবানের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি সিকিউরিটি ইনচার্জ জাকির কাইয়ুমকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এআইই মিলিটারি মিশনের সদস্য। ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত প্যালেসের দায়িত্ব তার হাতে থাকবে।

এদিকে কাবুল থেকে ফ্লাইট বদ্ধ করে দেওয়ায় ভারত ও যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তায় পড়েছে। তারা চেষ্টা করছে অন্য কোনো রুটে তাদের নাগরিকদে ফিরিয়ে নেওয়া যায় কিনা। ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছে দেশটির সরকার। ।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেচ জানিয়েছেন, আগামী দিনগুলোতে যত দ্রুত সম্ভব শত শত নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হবে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, আফগানিস্তানে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দেশটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে আফগান কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করায় সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক এয়ারলাইন্স তাদের রুট পরিবর্তন করেছে। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের আকাশ পথ ব্যবহার করছে না ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও ভার্জিন আটলান্টিকসহ অন্যান্য বিমান সংস্থা।

ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য বলছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ইরান ও পাকিস্তানের আকাশ পথ দিয়ে চলাচল করছে অনেক বিমান।