হাজার-হাজার আফগান নাগরিক ছুটছে পাকিস্তানে

হাজার হাজার আফগান নাগরিক স্পিনবোলডাক-চামান বর্ডার ক্রসিং দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। এসব লোকজনের মধ্যে রোগী ও জেল থেকে মুক্ত হওয়া তালেবান সদস্যরাও রয়েছে। তাদের বক্তব্য- যুদ্ধ পরবর্তী আফগানে চিকিৎসা সংকট ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার নেই। তালেবান দখলে নেওয়ার পর থেকে ডাক্তাররা পালিয়ে গেছেন। আল জাজিরা।

হাজার-হাজার আফগান নাগরিক ছুটছে পাকিস্তানে

আফগান কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার আফগান নাগরিকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো যাদের পরিচয়পত্র আছে তারা যেন পাকিস্তান থেকে নিজ দেশে ঢুকতে পারে এবং পাকিস্তানে প্রবেশ করতে পারে।

জাতিসংঘ পরিচালিত ব্রাউন ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, যারা পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে তাদের যুদ্ধপীড়িত ক্ষুধার্ত নাগরিক মনে হয়েছে। তবে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে পেরে তাদের চোখেমুখে স্বস্তি দেখা গেছে।

শের আহমাদ হেরাত

খবরে বলা হচ্ছে, খুলে দেওয়া চামান ক্রসিংয়ে হাজার হাজার আফগান পর্যটক পাকিস্তানে প্রবেশের জন্য জড়ো হচ্ছে। আফগান নাগরিকরা জানাচ্ছেন, তাদের দেশের সীমান্ত এলাকায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে। জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে তালেবান সরকারের নজর দেওয়া উচিত।

শের আহমাদ হেরাত শহর থেকে এসেছেন, যেটি চামান থেকে ৫৫০ কিমি পশ্চিমে অবস্থিত। তিনি বলছেন, তার ছোট ভাই নিউরোজিক্যাল সমস্যায় ভুগছে। তাদের দেশে হাসপাতালে কোনো ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। দেশ তালেবান দখলের পর থেকে ডাক্তাররা পালিয়েছে। আমার ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে শের আহমাদ বলছেন, দেশে আর কোথাও সংঘাত-সহিংসতা নেই।

কান্দাহারের নাগরিক আবদুল্লাহ

কান্দাহারের নাগরিক আবদুল্লাহ বলছেন, এখন কোথাও সংঘাত নেই, কারণ পুরো আফগানিস্তান এখন তালেবানের দখলে। এখন দেশে শুধু শান্তি আর শান্তি। জনগণ তাদের দোকানপাট খুলছে, বাণিজ্য চালাচ্ছে, চাকরিতে যাচ্ছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।

আবদুল্লাহ বলছেন, কান্দাহার মাত্র কয়েকদিন আগে তালেবানের দখলে গেছে। তার বাড়ি কান্দাহার শহরেই। শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল তালেবানদের জন্য।

এটি দখলের পরই পুরো দেশে তালেবানের জয়গান ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র কয়েকদিন আগেও শহরে যুদ্ধ চলছিল, গোটা জনপদে কত ভোগান্তি ছিল। কিন্তু এখন সবকিছু থেমে গেছে, স্বস্তি ফিরে এসেছে।