পিএসজির ‘প্রতিশোধ’ ঠেকাতে যা করছে রিয়াল

কিলিয়ান এমবাপ্পেকে কেন্দ্র করে রিয়াল মাদ্রিদে নিজস্ব স্টাইলে অভিযান চালাতে তথা খেলোয়াড় ভাগিয়ে নিতে পারে প্যারিস সেন্ট জার্মেই বা পিএসজি। এমন আশঙ্কায় নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বেঁধে রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে রিয়াল।

মার্কা বলছে, রিয়াল মাদ্রিদ উদ্বিগ্ন যে, যদি তারা প্যারিস থেকে ২২ বছর বয়সী এমবাপ্পেকে ভাগিয়ে নেয়, তাহলে পিএসজি তাদের নিজস্ব ট্রান্সফার (দল বদল) অভিযানের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে পারে।

যেমন— গত তিন মাসে লুকা মডরিচ (২০২২ পর্যন্ত), লুকাস ভাজকুয়েজ (২০২৪), নাচো ফার্নান্দেজ (২০২৩), দানি কারভাজাল (২০২৫), থিবাউট কোর্টিস (২০২৬), করিম বেনজেমা (২০২৩) এবং ফেড ভালভার্দে (২০২৭) তাদের চুক্তি নবায়ন করেছেন।

রিয়ালের যে উদ্বেগ সেটা আরো স্পষ্ট হয়েছে পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দোর আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেকে। বুধবার মার্কাকে তিনি বলেন, মাদ্রিদের আচরণ অসম্মানজনক, অন্যায্য, অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য।

মার্কা বলছে, এই পরিস্থিতিতে কোর্টিস ও ভালভার্দের ভবিষ্যত সুরক্ষার বিষয়টি রিয়াল মাদ্রিদের কাছে অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল বলে মনে হচ্ছে। ফলে এই জুটির চুক্তি এখন যতটা সম্ভব শক্ত গিট্টুতে বাঁধা। এমবাপ্পে ইস্যুতে রিয়াল মাদ্রিদে চূড়ান্ত অভিযানের এখনই ভালো সময়।

পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, বর্তমানে লস মেরেঙ্গুসের মাত্র চারজন খেলোয়াড় আছেন- যারা পরের বছর চুক্তির বাইরে। এর মধ্যে অবশ্য তিনজনই অর্থাৎ ইসকো, মার্সেলো এবং গ্যারেথ বেল ক্লাবের ভবিষ্যতের অংশ হিসেবে বিবেচিত নয়। অপরজন ৩৬ বছর বয়সী লুকা মডরিচ, প্রতি বছর যা পারফরম্যন্স বিবেচনা করা হয়।

রিয়ালের স্কোয়াডের অন্যান্য সদস্যরা ক্লাবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কেবল চুক্তিভিত্তিক শর্তেই নয়, বরং তাদের নিষিদ্ধ রিলিজ ক্লজগুলির ক্ষেত্রেও, যার সবগুলোই প্রায় ৭০ কোটির ইউরোর বেশি।

এক্ষেত্রে উদাহরণ বার্সেলোনা

ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ এবং রিয়াল মাদ্রিদের বিভক্তির কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অন্যতম শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সাথে যা ঘটেছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তারা চেয়েছিল মার্কো ভেরাত্তিকে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারিয়েছিল নেইমারকে। তারপর আরো খারাপ বিষয় হলো- তারা লিওনেল মেসিকে বিদায় নিতে দেখেছে, এমনকি জর্জিনিও উইজনালডামকেও হাতছাড়া করে।