শেষ মুহূর্তে ৭৩ মার্কিন বিমান, ২৭ সাঁজোয়া যান ধ্বংস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান ছেড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সকল সেনা। তাদের বহনকারী শেষ মার্কিন ফ্লাইট কাবুলের হামিদ কারজাইই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে। তবে শেষ মুহূর্তে নিতে না পেরে দেশটিতে ব্যবহার করা ৭৩টি বিমান ও ২৭টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে দিয়েছে মার্কিন বাহিনী।

কাবুলে মার্কিন বিমান, ফাইল ছবি

এসব যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক যান ধ্বংসের আগ পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল। কাবুল ত্যাগের আগমুহূর্তে এগুলোসহ বেশ কিছু যুদ্ধসরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়, যাতে পরে আর কেউ তা ব্যবহার করতে না পারে। বিমানবন্দরে থাকা উচ্চ ক্ষমতার রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অকার্যকর করে দেয়া হয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জির বরাত দিয়ে একই তথ্য জানিয়েছে এএফপি। বার্তা সংস্থাটি আজ মঙ্গলবার জানায়, গতকাল সোমবার কাবুল ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে এসব বিমান, সাঁজোয়া যান ও রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করা হয়।

মার্কিন বিমান ও সাঁজোয়া যান, ফাইল ছবি

কেনেথ ম্যাকেঞ্জি নিশ্চিত করেছেন, ওই সব বিমান আর কখনোই আকাশে উড্ডয়ন করনো যাবে না। সাঁজোয়া যান ও রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ব্যবহার করা যাবে না। জানা যায়, এসব সামরিক যানের একেকটির মূল্য প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, এর আগেই মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত বেশ কিছু সর্বাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে- মাইন প্রতিরোধী ট্যাংক, আগ্নেয়াস্ত্র, ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান, বায়োমেট্রিক ডেটাসহ প্রযুক্তিগত যুদ্ধসরঞ্জাম।

কাবুলে মার্কিন সাঁজোয়া যান, ফাইল ছবি

অবশ্য, আফগানিস্তানে ফেলে আসা সব যুদ্ধসরঞ্জাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ৮৫ বিলিয়ন ডলারও বুঝিয়ে দিতে বলেছেন তিনি। এতে তালেবান অসম্মত হলে দেশটিতে ফিরে গিয়ে ফের বোমা হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এক ই-মেইল বার্তায় কথাগুলো বলেন ট্রাম্প।

২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে ফের আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দুই দশকের যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলো।