বার্সার কাণ্ডে কষ্ট পেয়েছেন এমারসন

ব্রাজিলিয়ান ক্লাব অ্যাটলেটিকো মিনেইরো থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এমারসন রয়েলকে দলে টেনেছিল বার্সেলোনা। কিছুদিন পরই তাকে দুই বছরের জন্য ধারে রিয়াল বেতিসে পাঠায় তারা। এটাকে ‘ত্রিমুখী চুক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল কাতালান ক্লাবটি।

এমারসন রয়েল

গত জুনে এমারসনকে ফিরিয়ে আনে বার্সা। চলতি মৌসুমে স্প্যানিশ লা লিগার প্রথম তিন ম্যাচেও খেলেন তিনি। এরপরও কয়েক দিন আগে তাকে টটেনহাম হটস্পারে বিক্রি করে দিয়েছে বার্সা। হুয়ান লাপোর্তার বোর্ডের এমন কর্মকাণ্ডে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন এই রাইট ব্যাক।

স্পেনের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মার্কাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমারসন বলেন, ‘অনেক কিছুই ঘটছিল। টটেনহামের সাথে বার্সা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। কারণ আমি কিছুই জানতাম না। একদিন ক্লাব থেকে ফোন করে আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিল।’

‘এরপর আমি ক্লাবের পরিচালকদের সাথে দেখা করি। তারা আমাকে বলতে শুরু করেছিল যে, ক্লাবের অবস্থা ভাল নয়। খুব জটিল সময়ে আছে। এমতাবস্থায় আমাকে বিক্রি করাই ভালো হবে।’

‘পরিচালকদের বারবার বলেছি, আমি বার্সায় থেকে যেতে চাই। সেরা ফর্মে আছি। ক্লাবের জন্য ভালো কিছু করতে পারবো। তবে বুঝতে পারলাম, যাই বলি না কেন আমি তাদের পরিকল্পনায় নেই। তারা আমাকে ভালো কথা বলেই বের করে দিচ্ছিল,’ যোগ করেন এমারসন। 

২২ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান তারকা জানালেন, বার্সার হয়ে খেলা তার জন্য স্বপ্ন ছিল, ‘বার্সার হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল এটা আমি সব সময়ই বলেছি। অনুভব করতে চেয়েছিলাম ক্লাবটির হয়ে খেলতে কেমন লাগে। রোনালদিনহো গাউচোর খেলা দেখে কাতালানদের প্রেমে পড়ি। এরপর এলো লিওনেল মেসি, নেইমার, দানি আলভেজরা।’