‘হঠাৎ’ খালেদার সঙ্গে দিলারা চৌধুরীর সাক্ষাৎ, যা বললেন মিডিয়ায়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান ছিলেন ড. দিলারা চৌধুরী। তার ভাষ্যমতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী তথা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলটির বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আগে থেকেই তাদের ভালো জানাশোনা রয়েছে। সেই সূত্রে ধরে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ গিয়ে অসুস্থ বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন দিলারা চৌধুরী।

খালেদা জিয়া ও দিলারা চৌধুরী

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি তো কোনো রাজনীতি করেন না, তাই খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ আর কী করবেন? বরং ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে নয়, বরং দীর্ঘদিন তিনি (খালেদা জিয়া) জেলে ছিলেন, তার শারীরিক এখন অবস্থা কেমন— সেটা জানতে এবং তাকে দেখতেই তিনি (দিলারা) গিয়েছিলেন।

ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমানকে অনেক আগে থেকেই চিনতেন তিনি ও তার স্বামী গোলাম ওয়াহেদ চৌধুরী। তার সঙ্গে সব সময় সৌজন্যমূলক ব্যবহার করেছেন খালেদা জিয়াও। যেহেতু তিনি দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন এবং এখন বাড়িতে থাকলেও এক প্রকার ‘বন্দি অবস্থায়’ আছেন— তাই তাকে দেখতে গেছেন তিনি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা জানান, এর আগেও তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামকে- বিএনপির মহাসচিব- ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তখন মির্জা ফখরুল জানিয়েছিলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) অসুস্থ। তিনি জানান, আগামীতে অনেক দিনের জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন, তাই আবারো মির্জা ফখরুলকে বলেন যে, বাইরে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একটু দেখা করতে চান। এর পরই সাক্ষাতের ব্যবস্থা হয়।

এ সময় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, তিনি তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে, মানসিকভাবে অনেক শক্ত আছেন বিএনপি নেত্রী এবং ব্রেইনও খুব শার্প আছে। তবে চলাফেরার ক্ষেত্রে উনার খুব কষ্ট হচ্ছে। উনাকে এই মুহূর্তে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারলে খুব ভালো হতো, উনি স্বস্তি পেতেন। উনার পায়ে খুব ব্যথা, চলাফেরা করতে খুব ব্যথা হয়। তাছাড়া জেলে থাকার সময় কিডনি ও লিভারসহ অন্যান্য অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

রাজনীতি বিশেষজ্ঞ দিলারা চৌধুরী আরো বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে তারা কথা বলেছেন। বিশেষ করে, আফগানিস্তানের বিষয় নিয়ে খুব ভালো অ্যানালাইসিস করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।